আমেরিকা চালায় একটি দল, কোনও গণতন্ত্র নয়। সেই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে এবার নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করে ফেললেন এলন মাস্ক। মাস্কের রাজনৈতিক দল (political party) ঘোষণার কথা হাওয়ায় ভাসতেই সতর্ক করেছিলেন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তাতে যে বিন্দুমাত্র দমে যাননি শনিবার বুঝিয়ে দিলেন মাস্ক (Elon Musk)। শনিবারই তিনি ঘোষণা করলেন নতুন রাজনৈতিক দল – দ্য আমেরিকা পার্টি (America Party)।

জন্মসূত্রে আমেরিকান নন মাস্ক। ফলে রাষ্ট্রপতি হওয়ার লড়াইতে কখনই হাঁটতে পারবেন না মাস্ক। তা সত্ত্বেও কেন ট্রাম্পের সঙ্গে সম্মুখ সমরে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছেই। একদিকে ২০২৪ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ট্রাম্পের সবথেকে বড় অর্থ সরবরাহকারী মাস্ক নিজে রাজনৈতিক দল খুললে যে আখেরে ট্রাম্পের ক্ষতি, তা স্পষ্টতই বুঝে গিয়েছিলেন তিনি। তাই মাস্কের রাজনৈতিক দল খোলার জল্পনা শুরু হতেই হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর সংস্থা সরকারি যে ভর্তুকি পায় তা সব বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সম্প্রতি ট্রাম্প-মাস্ক মধুচন্দ্রিমা শেষ হওয়ার পরে মাস্ক সম্পর্ক মেরামতিতে হাত বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু কান দেননি ট্রাম্প। এবার পাল্টা রাজনৈতিক দল (political party) খোলার ঘোষণা করে চাপ বাড়ালেন মাস্ক। সেক্ষেত্রে মাস্ক যদিও যুক্তি দেখিয়েছেন, আমেরিকায় ডেমোক্রাট (Democratic Party) ও রিপাবলিকানদের (Republican Party) যে দ্বিদলীয় ব্যবস্থা রয়েছে তা আদতে গণতন্ত্র নয়। এতে একটি দলই গোটা দেশ শাসন করে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন বর্তমান মার্কিন অর্থনীতি নিয়েও। এর আগে ট্রাম্পের সরকারি সাহায্য বন্ধ, কর ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রপতির খরচের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম ট্রাম্প-বিরোধিতা শুরু করেছিলেন মাস্ক।


মাস্কের দাবি, তাঁর রাজনৈতিক দলে বাস্তবের স্বাধীনতা পাবেন মার্কিন নাগরিকরা। তার মধ্যে যে অর্থনৈতিক স্বাধীনতারও উল্লেখ থাকছে তা বলাই বাহুল্য। তবে কোন পথে তিনি রাজনৈতিক দল তৈরি করবেন আমেরিকার মতো রাজনৈতিক পরিকাঠামোতে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সেই সঙ্গে এই দলের নেতৃত্ব হিসাবে কাদের মুখ উঠে আসবে তারও উল্লেখ নেই মাস্কের পোস্টে।

রাজনৈতিক দল তৈরির সম্ভাবনায় মাস্কের ভর্তুকি (subsidy) তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার সেই ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরে তিনি কোন পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। আমেরিকায় জন্ম না হওয়ার কারণে মাস্ক কখনওই মার্কিন প্রেসিডেন্ট (President of America) হতে পারবেন না। তবে তাঁকে কী ট্রাম্পের চিরাচরিত ঢঙে আমেরিকা থেকে বের করেও দেওয়া হতে পারে? ট্রাম্প যদিও এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি। ধন্দ জারি রেখে তিনি বলেছিলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ভেবে দেখব।

The way we’re going to crack the uniparty system is by using a variant of how Epaminondas shattered the myth of Spartan invincibility at Leuctra:
Extremely concentrated force at a precise location on the battlefield.
— Elon Musk (@elonmusk) July 5, 2025
–

–

–

–

–
–
–