বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) ইতিহাস অনার্সের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ১২ নাম্বার প্রশ্নের বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা দিয়ে বিপাকে কর্তৃপক্ষ। অনিচ্ছাকৃত ভুল, বলছেন অধ্যাপকরা। বিষয়টি প্রকাশে আসতেই চারিদিকে নিন্দার ঝড়। অবিলম্বে প্রশ্নপত্র সংশোধনের পাশাপাশি ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবার। বিতর্কের মুখে গোটা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষমা চাইলেন উপাচার্য।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ইতিহাস পরীক্ষার (History Exam paper) প্রশ্নপত্র নিয়ে এই মুহূর্তে বিতর্ক তুঙ্গে। স্নাতক স্তরে তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সেমিস্টারের প্রশ্নপত্রে লেখা হয়, ‘মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম কর, যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?’ অথচ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বলছে, ব্রিটিশ শাসনকালের তিন অত্যাচারী ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জেমস প্যাডি, ডগলাস ও বার্জকে জবাব দিয়েছিলেন বাংলা মায়ের সন্তান বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত, বিপ্লবী জ্যোতিজীবন ঘোষ, বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য, অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন দত্তরা। তাহলে বাংলার বিপ্লবীরা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ‘সন্ত্রাসবাদী’ হয়ে গেলেন কীভাবে? ইতিহাস অনার্সের ‘মর্ডান ন্যাশনালিজ়ম ইন ইন্ডিয়া’ (Modern Nationalism in India) পেপার থেকে এই প্রশ্নটি করা হয় বলে জানা গেছে। বিতর্ক শুরু হতেই বৃহস্পতিবার বৈঠক ডাকেন উপাচার্য দীপককুমার কর (Dipak Kumar Kar)। উপস্থিত ছিলেন, ইতিহাসের বিভাগীয় প্রধান-সহ সমস্ত অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, এগজ়্যাম কন্ট্রোলার, ডিন অফ আর্টস, ইউজি কাউন্সিলের সেক্রেটারি, রেজিস্ট্রার। বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী। আমার কাছে অত্যন্ত সিরিয়াস ইস্যু এটা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যতটা ড্যামেজ হয়েছে, আর যেন না হয়, সেই অঙ্গীকার করছি। এই ভুল যাতে আগামিদিনে না হয়, তার জন্য আমরা আজ সকাল এগারোটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছি।” অসমর্থিত সূত্রের খবর, এই ঘটনার জন্য ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–