বাংলা-বিরোধী বিজেপি (BJP) বাঙালিদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিজেপি-শাসিত কিছু রাজ্যে তারা পরিকল্পিতভাবে বাঙালি খেদাও অভিযানে নেমেছে। বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে চড়াও হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণ করতে। বিজেপির এই পূর্ব পরিকল্পিত চক্রান্ত ও চিত্রনাট্য তৈরি করার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল তৃণমূল (TMC)। ছুড়ে দিল ছয় প্রশ্নবাণ। তৃণমূলের সাফ কথা, প্রবল বাংলা-বিরোধী বিজেপি। শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলার অপরাধে শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। কোনওরকম বিচার বিবেচনা ছাড়াই তাদের অনুপ্রবেশকারী এবং বাংলাদেশি বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে।

তৃণমূল (TMC) সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছে, পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে। ওড়িশা সরকারকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আদালত ‘নীরব দর্শক’ হয়ে থাকতে পারে না। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) এই মর্মে হস্তক্ষেপ করার পরে তৃণমূল ৬টি প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝির (Mohan Charan Majhi) সরকারের কাছে। তৃণমূল অবিলম্বে জবাব চেয়েছে সেই ছয় প্রশ্নের।
এক, যাঁরা নিখোঁজ, তাঁরা কি আদৌ নিখোঁজ না কি বেআইনিভাবে আটক?
দুই, আটক হলে, কোন আইনি ধারা বা আদালতের নির্দেশে তাঁদের আটক করা হয়েছে?
তিন, আটকের নির্দিষ্ট কারণ কী ছিল?
চার, আটক হওয়া ব্যক্তিদের কি জানানো হয়েছিল কেন তাঁদের পাকড়াও হল?
পাঁচ, এই গ্রেফতার কি ওড়িশা পুলিশের কোনও তদন্তের অংশ?
ছয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে না জানিয়ে, কোনও প্রকারের সমন্বয় ছাড়াই কেন এমন অভিযান চালানো হল?
শুধু ওড়িশাতেই নয়, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে বাঙালিদের প্রতি বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি দিল্লির বসন্তকুঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক।

বাঙালি পরিবারে আলো ও জল বন্ধ বন্ধ করে দিয়েছে, দিল্লির (Delhi) প্রশাসন। এই ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির বসন্তকুঞ্জ এলাকার ‘জয় হিন্দ কলোনি’-তে বাঙালি শ্রমজীবী মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে, দিল্লির সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ভয়ঙ্কর হেনস্থার ঘটনায় আমি গভীরভাবে বিচরিত ও মর্মাহত। বাংলায় বাঙালিদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় বিজেপি এখন দেশের অন্যান্য রাজ্যে বাংলা-বিরোধী মনোভাব পোষণ করছে। বাংলাভাষাভাষীদের নিশানা করা হচ্ছে। বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষায় কথা বললেই কেউ বাংলাদেশি হয়ে যায় না। এই ভাষাভাষীরা ভারতের নাগরিক। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের অনুপ্রবেশকারী বলে দেগে তাঁদের উপর যে আচরণ করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। মুখ্যমন্ত্রীর তাঁদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আমরা চুপ করে থাকব না। আমরা সবরকম মঞ্চে প্রতিবাদ জানাব।এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।
আরও খবর: কাশ্মীরে যাওয়া নিয়ে শুভেন্দুর কুৎসার জবাবে ধুয়ে দিলেন শশী

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–