বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের সঙ্গে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mondal) ভাইরাল হওয়া ফোন কান্ডের মামলায় এবার উচ্চ আদালতে প্রশ্নের মুখে জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW)। পুলিশের তদন্তে কিভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে কমিশন? প্রশ্ন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। এদিনের কমিশনের তরফে এই মামলা সংশ্লিষ্ট কোর্টের (Calcutta High Court) আওতায় পড়ে কিনা সেই প্রশ্নে পুলিশের তদন্তে কি ধারা থাকা উচিত ছিল সেই বিষয়ে বলতেই রীতিমত ক্ষেপে ওঠেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। কমিশনকে বিচারপতির সাফ প্রশ্ন,’তদন্তকারী সংস্থার কাজে কীভাবে হস্তক্ষেপ করছেন? কোনও ধারা যুক্ত হবে না হবে না, সেটা নিয়ে কীভাবে নির্দেশ দেন আপনারা?’

এর পরিপ্রেক্ষিতে সাফাই দিয়ে কমিশনের (NCW) তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, ‘আমরা কোনও নির্দেশ দিইনি, আমরা পরামর্শ দিয়েছি। লঘুধারায় মামলা হয়েছে, তাই আমরা পরামর্শ দিয়েছি।’ এরপরেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন করেন, ‘কীসের ভিত্তিতে আপনারা এই নির্দেশ দিচ্ছেন, আপনাদের কাছে কী তথ্য প্রমাণ আছে?’ বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রচুর কমিশন (commission) আছে, সবাই যদি তদন্তকারী সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপ করা শুরু করে, তাহলে তদন্ত কীভাবে চলবে?’ আদালতের (Calcutta High Court) স্পষ্ট বক্তব্য, কমিশন (NCW) কেস ডায়েরি দেখতে চাইতে পারে না।

আরও পড়ুন: রাজ্যের প্রথম ডেঙ্গি–মুক্ত এলাকা: স্বীকৃতি পানিহাটিকে

উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের ফোন কান্ডের ঘটনার সূত্রেই মহিলা কমিশনের (NCW) দ্বারস্থ হয়েছিলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার (SP, Birbhum)। সেই মামলায় এবার মহিলা কমিশনে হাজিরা দেবেন বীরভূমের পুলিশ সুপার। আগামী ১৪ জুলাই ভার্চুয়ালি তাঁকে জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) সামনে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথি ডিজিটালই পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ একক বেঞ্চের। যদি কোনও নথি পাঠানো সম্ভব না হয়, তার কারণ জানাতে হবে পুলিশকে। এমনটাই নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)। নথি যাচাইয়ের পর যদি কোনও পুলিশের উপস্থিতি প্রয়োজন হয়, তাহলে পুলিশ সুপার তাঁর কোনো প্রতিনিধিকে পাঠাবেন।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–