Saturday, August 23, 2025

কোথায় গেল শুভেন্দুর রোহিঙ্গা তত্ত্ব: ওড়িশায় পরিযায়ী সুজনকে মারধরে প্রশ্ন তৃণমূলের

Date:

Share post:

বেছে বেছে বাঙালিদের উপরই অত্যাচার। বিজেপি রাজ্যগুলিতে এই চক্রান্ত প্রায় ৪০০ শ্রমিকের বিভিন্ন রাজ্যে অপমানিত, নিগৃহীত ও অত্যাচারিত হওয়ার পরে চক্রান্ত ফাঁস করে বাংলার সরকার। আদালতে তীব্র ভর্ৎসিত বিজেপি রাজ্যগুলি। এরপরে রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) দাবি, বাংলায় রোহিঙ্গা (Rohinga) মুসলিমরা বিপুল সংখ্যায় বসবাস করায় তারাই ভিন রাজ্যে গিয়ে ধরা পড়েছে। অথচ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে যে শুধুমাত্র বাংলা ভাষা শুনেই যে পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant labours) উপর অত্যাচার করা হচ্ছে তার প্রমাণ মুর্শিদাবাদের সুজন সরকারের উপর ওড়িশায় অত্যাচার। সেখানেই তৃণমূলের তরফে শুভেন্দুকে প্রশ্ন, কোথায় গেল তাঁর রোহিঙ্গা তত্ত্ব।

ওড়িশায় পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে গিয়ে চূড়ান্ত হয়রানি ও মারধরের শিকার মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বাসিন্দা সুজন সরকার। সেই তথ্য ও ছবি তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ তথা রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলামের (Samirul Islam) দাবি, বাংলা বিরোধী বিজেপি কখনই পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant labour) উপর অত্য়াচারের সময় ধর্মকে আতশকাঁচের নিচে রেখে করে না। বিজেপি শাসিত ওড়িশায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বাসিন্দা সুজন সরকারের উপর একইভাবে হামলার ঘটনা বিজেপির হতাশার বহিঃপ্রকাশ। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিজেপির রাজ্যে এভাবেই ধর্ম নির্বিশেষে বাঙালিদের হয়রানি করার বিরজ্জনক উদাহরণ এটি।

সেখানেই বিরোধী দলনেতার রোহিঙ্গা (Rohinga) তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ সামিরুল (Samirul Islam)। তাঁর প্রশ্ন, এবার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) বলুন সুজন সরকার কীভাবে রোহিঙ্গা হলেন? পরিযায়ী শ্রমিকরা দরিদ্র এবং তাঁদের কোনও ধর্ম নেই। তারা সেখানেই যায় যেখান থেকে রুটি রুজির সন্ধান পেতে পারে। সেই সব রাজ্যে তারা কারো দয়ায় থাকে না – দেশের সাংবিধানিক অধিকারের জোরেই থাকে, যা তাদের দেশের যে কোনও জায়গায় বসবাস ও কর্মসংস্থানের অধিকার দেয়।

আরও পড়ুন: ক্ষমা চান হিমন্ত বিশ্বশর্মা: বাঙালিদের ‘বিদেশী’ তকমার পরেই সরব তৃণমূল

আদতে বিজেপির যে বাংলাবিরোধী অভিসন্ধিকে ঢাকতে শুভেন্দু অধিকারী রোহিঙ্গা (Rohinga) তত্ত্ব খাঁড়া করার চেষ্টা করছেন, তা এই ঘটনাতে স্পষ্ট। সেখানেই সাংসদ ব্য়াখ্যা করেন, বাঙালিদের ভাষা, সংস্কৃতি ও আঞ্চলিকতার কারণে যেভাবে অপমানিত করা হচ্ছে, তাতে আদতে সংবিধানের দেওয়া বিভিন্নতার অধিকারকে অপমান করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সামিরুল মনে করিয়ে দেন, বিভিন্ন রাজ্য থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে বাংলায় বহু বছর ধরে রয়েছে। তাদেরও এই রাজ্যে থাকা ও জীবিকা অর্জনের অধিকার রয়েছে।

spot_img

Related articles

বাংলা দখলে প্রধানমন্ত্রীর ‘হতাশার আর্তনাদ’! ভিডিও দেখিয়ে তোপ তৃণমূলের

বাংলার মানুষকে দিনের পর দিন বঞ্চিত রেখে বাঙালির কাছেই ভোট ভিক্ষা! বাঙালিকে একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা করে...

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...