একুশে জুলাইয়ের ঐতিহাসিক সমাবেশের বাকি হাতে গোনা কয়েকটা দিন। রাজ্য জুড়ে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। রবিবাসরীয় বৃষ্টির সন্ধ্যায় বেহালায় তৃণমূলের শাখা সংগঠন ‘ফ্যাম’ আয়োজিত একুশের প্রস্তুতিসভায় ১৯৯৩ সালের সেই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

তাঁর কথায়, আগে সচিত্র পরিচয়পত্রের কোনও তাগিদ ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম বাংলায় ভূতুড়ে ভোটার ও বৈজ্ঞানিক রিগিং বন্ধ করার জন্য সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবি তুলেছিলেন। সেই দাবির ফসল একুশে জুলাইয়ের সেই কর্মসূচি। ১৪ জন শহিদের আত্মবলিদানের বিনিময়ে বাংলা তথা সারা ভারতের মানুষ সচিত্র পরিচয়পত্র পেয়েছেন। কুণালের আরও সংযোজন, সিপিএম বলে সেদিন নাকি মহাকরণ দখল করতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিথ্যা কথা বলে হার্মাদ সিপিএম। সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতেই মহাকরণ অভিযান হয়েছিল। কারণ, সেই সময় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মহাকরণে বসতেন। একইসঙ্গে দলীয় কর্মীদের প্রতি তাঁর বার্তা, বিজেপির সামাজিক নীতি, অর্থনীতি, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরোধিতা যেমন করতে হবে, তার পাশাপাশি সিপিএম জমানায় একের পর এক অপশাসন নিয়েও তরুণ প্রজন্মকে অবগত করতে হবে। এমন কোনও কাজ আমরা করব না, যার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত ভাল কাজ ঢাকা পড়ে যায়।

আরও পড়ুন – একুশের প্রস্তুতিসভায় জনজোয়ার, কাঁথিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে বুথ সভাপতি-সহ ২০০ কর্মী

_

_

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_