মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সাগর জেলার তিহার গ্রামে ঋণের (debt) ভারে জর্জরিত হয়ে একই পরিবারের ৪ সদস্য আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মনোহর লোধি (৪৫), তাঁর মা ফুলরানি (৭০), কন্যা শিবানী (১৮) এবং পুত্র অনিকেত (১৬)। বিষ খাওয়ার ফলে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

মনোহরের দাদা নন্দরাম লোধি জানান, তিনি একই বাড়ির দোতলায় থাকেন। শুক্রবার রাতে মনোহরের ঘর থেকে বমির শব্দ পেয়ে তিনি ছুটে গিয়ে দেখেন, মনোহর ও পরিবারের তিন সদস্য অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। চার জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ফুলরানি ও অনিকেতকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে শিবানী ও মনোহরেরও মৃত্যু হয়।

ঘটনাস্থল থেকে একটি হাতে লেখা কাগজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ এখনই তাকে সুইসাইড নোট বলতে নারাজ। তবে তাতে লেখা ছিল যে, “মামাকে ২.৪৫ লক্ষ টাকা শোধ করা হয়েছে, পিসিকে তিনটি মহিষ দেওয়া হবে এবং জমি ভাইদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।” এই লেখার ভিত্তিতে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঋণের চাপে আত্মঘাতী হয়েছেন মনোহর ও তাঁর পরিবার। ঘটনাটি ফরেনসিক ও লিগ্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মনোহরের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছে তদন্তকারীরা।

এই ঘটনার জেরে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে কৃষক-নির্যাতনের ইস্যু উঠে এসেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে কৃষকদের আর্থিক সুরক্ষার কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা নেই। রাজ্যের কৃষক সহায়ক প্রকল্পগুলি কার্যত অচল। ফসল বিমা, ঋণ মুকুব কিংবা আর্থিক ভর্তুকির সুবিধা বহু কৃষকের নাগালের বাইরে। কংগ্রেস মুখপাত্র অরুণ যাদব বলেন, “এই ঘটনার দায় রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকারের। কৃষকদের পাশে না দাঁড়িয়ে, শুধু ভোটের সময়ই তাঁদের মনে রাখে সরকার।” আরও পড়ুনঃ বিজ্ঞানবিরোধী ট্রাম্প! নাসা থেকে এক ধাক্কায় ছাঁটাই ৪০০০ কর্মী

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–