ধর্ষণ সমাজের এক গভীর অসুখ! এ শুধু আইনত অপরাধ নয়, এক বৃহৎ মানবিক বিপর্যয়। এই বার্তাই তুলে ধরল পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের একটি সচেতনতামূলক আলোচনা সভা। সোমবার শহরের এক বেসরকারি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও বিশিষ্টজনেরা। আয়োজিত আলোচনাসভার মূল উদ্দেশ্য ছিল, ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট অপরাধ কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়, সেই বিষয়ে সরাসরি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা। উপস্থিত ছিলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা।

সভায় লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ধর্ষণ একটি ভাইরাসের মতো মহামারী। এটি এক দিনে নির্মূল হবে না, কিন্তু সচেতনতা ও মানসিকতা পরিবর্তনের মাধ্যমে একদিন অবশ্যই রোধ করা সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, “মেয়েরা আগে মানুষ, তারপর তারা নারী। তাই ঘরের মা, দিদি, বোনের মতো স্কুল, কলেজ কিংবা কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি মহিলাকেও সমান সম্মান জানাতে হবে।”

তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে আবেদন করেন, “আপনারাও কলেজে নিজ উদ্যোগে এমন আলোচনা সভার আয়োজন করুন, যাতে আরও বেশি ছেলেমেয়ে সচেতন হয়।” লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এ-ও বলেন, ধর্ষণ প্রতিরোধে ছেলেদেরই আগে এগিয়ে আসতে হবে এবং মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত। আলোচনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নানা প্রশ্ন উঠে আসে, যার উত্তর দেন কমিশনের সদস্যরা। তরুণ প্রজন্মের এমন সজাগ অংশগ্রহণে খুশি মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সমাজকে সুস্থ ও নিরাপদ করতে এই ধরনের উদ্যোগ যে আগামী দিনেও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের আরও কলেজে এই ধরনের সভার পরিকল্পনা রয়েছে।

আরও পড়ুন- মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘প্রশ্নের বিনিময়ে ঘুষ’ মামলা: লোকপালের কাছে রিপোর্ট পেশ সিবিআই-এর

_

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_