মৃত্যুদণ্ডের সাজা যেন কার্যকর না হয়—এই আবেদন নিয়েই ইয়েমেনে (Yemen) পৌঁছেছে মাত্র ১৩ বছরের এক কিশোরী। কেরলের বাসিন্দা, ইয়েমেনে বন্দি ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya) প্রাণরক্ষা করতে তাঁর মেয়ে মিশেল নিজেই এগিয়ে এল। এক আবেগঘন ভিডিও বার্তায় সে জানায়, “আই লাভ মাই মাম্মি। দয়া করে আমার মাকে ফিরিয়ে দিন।”

২০১৭ সালে ইয়েমেনে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়া। ২০২০ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে ইয়েমেনের আদালত। তবে মামলা ঘিরে একাধিক প্রশ্ন থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই কূটনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলির তরফে তাঁর মুক্তির দাবি জানানো হচ্ছে। সম্প্রতি ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রশাদ আল আলিমি ও হুতি নেতা মাহদি আল মাশাত নিমিশার মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন দেন। তার পর ভারত সরকারের চেষ্টায় আপাতত রায় স্থগিত রয়েছে।

এই প্রেক্ষিতেই মিশেল ও তার বাবা টমি থমাস ইয়েমেনে পৌঁছেছেন, সঙ্গে রয়েছেন গ্লোবাল পিস ইনিশিয়েটিভ-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. কে এ পল। একটি ভিডিও বার্তায় মিশেল কাঁদতে কাঁদতে বলে, “দয়া করে আমার মাকে ফিরিয়ে দিন। আমি দশ বছর ধরে মাকে দেখিনি।” পাশে বসে থাকা টমি থমাসের আবেদন, “আমার স্ত্রীর জীবন রক্ষা করুন। ওঁকে যেন ভারতে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়।”

ড. কে এ পল এক বিবৃতিতে জানান, “নিমিশার মেয়ে মিশেল দীর্ঘদিন ধরে মায়ের সগ্ঙ পায়নি। এই পরিস্থিতিতে ইয়েমেন যদি মানবিকতার নজির দেখায়, তবে তা আন্তর্জাতিক স্তরে উদাহরণ হয়ে থাকবে।”ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং ইয়েমেন সরকারের সঙ্গে একাধিক স্তরে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলেও এ ঘটনায় মানবিক আবেদনের গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–