লুক আউট নোটিশের পরেও অধরা চন্দননগরে রুশ বধূ ভিক্টোরিয়া বসু (Victoria Basu)। এই বিষয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) প্রশাসনের। আদালতের নির্দেশের পরেও কীভাবে এখন অধরা ওই রুশ মহিলা! শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। ভিক্টোরিয়া রুশ গুপ্তচর বলে অভিযোগ।

এদিন শুনানিতে পুলিশকে ভর্ৎসনাও করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পুলিশের কর্তব্যে গাফিলতি, ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলন দুই বিচারপতি। শিশুকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া রুশ বধূ ভিক্টোরিয়ার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে মস্কোর দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিক্টোরিয়ার শিশুপুত্রকে ফেরাতে হবে।

চন্দননগরের বাসিন্দা সৈকত বসু কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ছিলেন চিনে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় রাশিয়ান নাগরিক ভিক্টোরিয়া জিগালিনার। তাঁদের সম্পর্ক প্ৰেম থেকে বিবাহে পরিণতি পায়। বিয়ের পরে দম্পতি তাঁদের একমাত্র সান্তনকে নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। চন্দননগরে আসার পর থেকেই ফোর্ট উইলিয়ামে যাওয়ার জন্য চাপ দিতেন থাকেন স্ত্রী। কিন্তু সৈকতের বাবা প্রাক্তন নৌ সেনার আধিকারিক সমীর বসু সেই প্রস্তাবে সায় দেননি। এরপর ভিক্টোরিয়া সন্তানকে শুধুমাত্র নিজের কাছে রাখার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টে।

কিন্তু এই মামলা চলাকালীনই বেপাত্তা হয়ে যান ভিক্টোরিয়া জিগালিনার। সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিজের সন্তানকে ফিরে পাওয়ার আবেদন করেন সৈকত বসু। শেষবার ৪জুলাই রাশিয়ান নাগরিককে দিল্লির রুশ দূতাবাসে দেখা গিয়েছিল।

এরইমধ্যে বসু পরিবার জানতে পারেন ভিক্টোরিয়ার বাবা ছিলেন রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ‘এফএসবি’-র প্রাক্তন আধিকারিক। এরপরই রাশিয়ান গুপ্তচর বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ভিক্টোরিয়ার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে অবিলম্বে ভিক্টোরিয়াকে শিশু-সহ খুঁজে বের করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। শিশুটিকে খুঁজে পেলে তুলে দিতে হবে বাবা সৈকত বসুর হাতে।

–

–

–

–

–
–
–
–
–