সংস্কারের কাজের জন্য আপাতত এক বছর বন্ধ কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন (Kavi Subhash Metro)। ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ভোগান্তি শুরু যাত্রীদের। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ নিউ গড়িয়া এলাকার এই মেট্রো স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করতেন। কিন্তু এখন আর সেই উপায় নেই। পিলারে ফাটলের জেরে শুধু যে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত রেক যাবে না তাই নয়, পুরো প্লাটফর্ম ভেঙে ফেলা হবে বলেও জানা গেছে যা করতে প্রায় এক বছর লেগে যেতে পারে। স্টেশন হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তির আশঙ্কা প্রবল। হাজার হাজার নিত্যযাত্রী সমস্যায় পড়তে চলেছেন। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের স্বার্থে বড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার (Govt of WB)। পরিবহন দফতরের (Transport Department) তরফে জানানো হয়েছে, যতদিন না পর্যন্ত এই মেট্রো স্টেশনের সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হচ্ছে ততদিন কবি সুভাষ থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত শাটল বাস (Shuttle Bus Service) চালু করতে চলেছে রাজ্য।

দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্র কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন। পরিষেবা চালু হওয়ার পনেরো বছরের মধ্যে যেভাবে এই স্টেশনের পিলারে ফাটল দেখা গেছে তাতে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব যে স্পষ্ট তা পরিষ্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে। দায় এড়াতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ নানা যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করলেও সাধারণ মানুষকে যে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে তা নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই রেলের। মেট্রো সূত্রে খবর, এবার সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে গোটা স্টেশন। ইতিমধ্যেই ই-টেন্ডার ডাকা হয়েছে। আর এই কাজ শেষ হতে সময় লাগবে অন্তত ৯ থেকে ১০ মাস। তালে পুনরায় এই স্টেশন থেকে মেট্রো যাতায়াত শুরু হতে এক বছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই রাজ্য সরকার নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে এবার নয়া পদক্ষেপ করেছে। আগামী সোমবার অর্থাৎ ৪ অগাস্ট থেকে দুবেলা করে অফিস টাইমে কবি সুভাষ থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত শাটল বাস পরিষেবা মিলবে।সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই বাস চালানো হবে। প্রতিটি বাসে ৩২ জন করে যাত্রী বসতে পারবেন। ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ১০ টাকা। এর ফলে নিউ গড়িয়া এলাকা থেকে সরাসরি ব্রিজী এলাকা অর্থাৎ শহিদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত সরাসরি পৌঁছে যেতে পারবেন যাত্রীরা। তারপর সেখান থেকে মেট্রো ধরা যাবে। নিত্যযাত্রীদের কথা ভেবেই এই বিকল্প ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন পরিবহন দফতরের এক আধিকারিক। রাজ্যের এই পদক্ষেপে কিছুটা হলেও ভোগান্তি কমতে পারে বলে মনে করছেন মেট্রো যাত্রীরা।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–