কারণে-অকারণে সব জায়গায় নাম বদলে সেই জায়গার ইতিহাস বদলে ফেলাটাই বিজেপির রাজনীতি। বাংলাতেও সেই রাজনীতি কায়েম করার চেষ্টা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। একাধিকবার সেই সূত্রেই শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah station) নাম বদলে ফেলার দাবি জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, রাজ্য সেরকম প্রস্তাব না করায় তাঁর আশা পূর্ণ হয়নি। রবিবার শিয়ালদহ শাখার এসি লোকাল ট্রেনের উদ্বোধনে গিয়ে ফের সেই দাবি পেশ করলেন সুকান্ত। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, শিয়ালদহের নাম কেন স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) নামে হবে না।

বাংলায় বন্দরের নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে করার পরেও ঐতিহ্যবাহী শিয়ালদহ স্টেশনের নাম রাখার ইচ্ছা তাঁরই নামে সুকান্ত মজুমদারের। কিন্তু বাংলার বঞ্চনায় কখনও সরব না হওয়ায় রাজ্য সরকারের কাছে সেই আবেদনও তিনি করতে পারছেন না। তাই ফের একবার অনুরোধ জানিয়ে সুকান্ত বলেন, রাজ্য সরকারের (state government) প্রস্তাবের উপরই স্টেশনের নামকরণ নির্ভর করে। আমার অনুরোধ, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে শিয়ালদহ স্টেশনের নামকরণের জন্য যেন প্রস্তাব পাঠায়। রাজ্য থেকে প্রস্তাব গেলে কেন্দ্রে অনুমতি পাওয়া যাবে ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় শিয়ালদহ টার্মিনাস নামের।

আরও পড়ুন: সুকান্তকে ঘিরে বিক্ষোভ: নবান্ন অভিযানের ব্যর্থতায় শুভেন্দুর ‘বদলা’! প্রশ্ন তৃণমূলের

সেখানেই তৃণমূলের প্রশ্ন, কেন সেই নাম স্বামী বিবেকানন্দর নামে হবে না। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তাঁর নামে এ-রাজ্যে বন্দর রয়েছে। তাহলে আবার শিয়ালদহ স্টেশন কেন? আর যদি শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah station) নাম বদল করতেই হয় তাহলে এটা স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) নামেই হওয়া উচিত। কারণ, শিকাগো ধর্মসভায় ঐতিহাসিক বক্তৃতার পর তিনি জাহাজে চেপে দেশে নামেন। সেখান থেকে তিনি ট্রেনে শিয়ালদহে আসেন। সেখান থেকে স্থানীয় যুবকেরা তাঁর গাড়ি থেকে ঘোড়া খুলে রেখে নিজেরাই স্বামীজিকে মিত্র ইনস্টিটিউশান স্কুলে নিয়ে যান, সেখানে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। তাই যদি নাম বদল করতেই হয়, তাহলে শিয়ালদহ স্টেশনের নাম স্বামীজির নামে করা হোক।

–

–

–

–

–

–