যুবভারতীতে জ্বলল মশাল, ডুরান্ডের(Durand Cup) মঞ্চে ডার্বির রং লাল হলুদ। এবারও ডার্বির নায়ক সেই দিমিত্রি (Dimitri Diamantakos)। তবে পেত্রাতস নন, এবার ডার্বির নতুন নায়ক দিমিত্রি দিয়ামনতাকস (Dimitri Diamantakos)। গতবারের বহু সমালোচনা। তাঁকে না রাখার বার্তা। ডুরান্ড ডার্বিতেই যেন দিলেন সমস্ত জবাবটা। মোহনবাগান সুপারজায়ান্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal)। সেইসঙ্গেই এবারের মতো ডুরান্ড কাপে যাত্রা শেষ মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের (MBSG)।

ডার্বি ঘিরে শুরু থেকেই এবার উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছিল। অপেক্ষাটা ছিল শুধু মাঠে নামার। সেখানেই সকলকে চমকে দিয়ে ডার্বির নায়ক দিমিত্রি দিয়ামনতাকস । ডার্বিতে জোড়া গোল করলেন। সেইসঙ্গে মধুর প্রতিশোধও নিলেন তিনি। এখান থেকেই হয়ত দিলেন সমস্ত জবাবও।

এদিন প্রথম একাদশে ছিলেন না দিমিত্রি দিয়ামনতাকস। কিন্তু সুযোগ এনে দিল হামিদ আহদাদের চোটটা। মরক্কোর এই তারকা চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তেই মাঠে আসেন দিমিত্রি। এদিন সম্পূর্ণ অন্য মেজাজেই ছিলেন তিনি। প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করেন দিমিত্রি দিয়ামনতাকস।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই ম্যাচে ফেরে মোহনবাগান। কিন্তু যুবভারতীতে এই দিনটা যেন ছিল দিয়ামনতাকসেরই। আবারও মোহনবাগানের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনিই। আর তাতেই ম্যাচের ভাগ্যও নির্ধারিত হয়ে যায়। তাঁর হাত ধরেই দীর্ঘদিনের ডার্বি জয়েরক খরা কাটাল ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal)।

রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠে শুরু উল্লাস। গ্যালারীতে জ্বলে ওঠে মশালও। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয়েছে এদিনই। সমর্থকদের বহু দিনের হতাশার অবসানটাও হয়ত হল এদিনের যুবভারতীতেই।

–

–

–

–

–

–