গায়ের জোরে ২০২৩ সাল থেকে একের পর এক বিল পাশ, আইন পাশ করানোই নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ মোদি সরকারের নীতি। গোটা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি করার যে খেলা শুরু করেছে মোদি সরকার, তা বিরোধীরা ধরে ফেলতেই এবার নতুন খেলায় মেতেছে স্বৈরাচারী মোদি সরকার। সেই উদ্দেশ্যেই এবার লোকসভায় (Loksabha) পেশ হল সংবিধান সংশোধনের ১৩০তম বিল। যে বিলে ৩০ দিন হাজত বাসে মন্ত্রীদের মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়ার অধিকারী হবেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপাল।

লোকসভায় সংবিধান সংশোধনের (Constitution amendment) মধ্যে দিয়ে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে (federal structure) আরও একবার ভেঙে দেওয়ার পথে কেন্দ্রের বিজেপির সরকার। বুধবার সেই সংশোধনী বিল লোকসভায় পেশ করলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পাল্টা বিলের বিরোধিতায় সরব হন বিরোধী সাংসদরা। এআইএমআইএম (AIMIM) সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি দাবি করেন, এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত মন্ত্রীদের সরিয়ে দেশে আমলাদের দিয়ে শাসন করার পথে যেতে চাইছে স্বৈরাচারী কেন্দ্রের সরকার।

সেই সঙ্গে সরব হন কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তেওয়ারি দাবি করেন, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি পথ খুলে দেওয়া হচ্ছে এই সংশোধনের মধ্যে দিয়ে। সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, এর আগেও কেন্দ্রের সরকারের এই স্বৈরাচারী মনোভাবের জন্য সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এই সংশোধনীকে অত্যুক্তি, অপ্রয়োজনীয় ও অসাংবিধানিক বলে দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন: দেশে ফেরা হল না! আফগানিস্তানে বাসে ভয়াবহ আগুন লেগে মৃত ৭৮ যাত্রী

বিরোধীদের প্রতিবাদের মুখে সেই একই পন্থায় মোদি সরকার। প্রথমে অমিত শাহ বিল পেশ করার পরই স্পিকার ওম বিড়লা মুলতুবি করে দেন লোকসভার অধিবেশন। এরপর ৩টের সময় ফের অধিবেশন শুর হলে সেখানে এই বিলকে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটিতে (JPC) পাঠানোর প্রস্তাব দেন শাহ। স্পিকার সেই প্রস্তাব পাস করে বিরোধীদের প্রায় কোনও আলোচনার সুযোগ না দিয়েই ফের ৫টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেন অধিবেশন।

–

–

–

–

–
