খেজুরির দুই বিজেপি কর্মী সুজিত দাস ও সুধীর পাইকের রহস্যমৃত্যুতে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাতেই আস্থা রাখল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার, সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, DIG পদমর্যাদার একজন আধিকারিকের নেতৃত্বে সিট গঠন করবেন এডিজি CID। থাকবেন সিআইডির হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরাও।

১২ জুলাই খেজুরিতে একটি অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে রহস্যমৃত্যু হয় সুজিৎ দাস ও সুধীর পাইকের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। কারণ, মৃতদেহে আঘাতের দাগ দেখা গিয়েছে। কিন্তু, পুলিশের দাবি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মামলায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তাতেই দেখা যায় দুই হাসপাতালে রিপোর্ট দুই রকম। প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হলেও, পরে হাই কোর্টের নির্দেশে এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বিতীয় রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দেহে আঘাতের চিহ্ন আছে। রাজ্যের তরফে যুক্তি ছিল, প্রথম ময়নাতদন্তের পরে দেহ যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করা না হলে, দুটি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পার্থক্য একাধিক কারণে হতে পারে।

সোমবার, আদালতে ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আবেদন জানায় মৃতদের পরিবার। এ প্রসঙ্গেই সিবিআই-এর ভূমিকা তীব্র কটাক্ষ করেন বিচারপতি ঘোষ। বলেন, “সিবিআই সম্পর্কে আদালতের অবস্থান, সিবিআই এখন Gallery Show হয়ে গিয়েছে। এই মামলা এখন সিবিআই কে দিলে Gallery Show হয়ে যাবে। তাই সিবিআইকে তদন্তভার দেব না।” পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বলেন, “এই মামলা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার মতো এখনও সেই পর্যায়ে নেই।”

এদিন শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন, ডিআইজি পদমর্যাদার একজন আধিকারিকের নেতৃত্বে সিট গঠন করবেন এডিজি CID। থাকবেন সিআইডির হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরাও। তাঁরাই তদন্ত করবেন। ২৫ সেপ্টেম্বর তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে। ওদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।

–

–

–

–

–

–
