বারবার রং বদল করে আপাতত গেরুয়াতে ঠেকেছেন ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ভোটের আগে বা বিজেপির. (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলায় সভা করলে তাঁর আসন ছিল মঞ্চে। সেখান থেকে নিজের হিট ছবির ডায়লগও বলেছেন প্রচুর। তবে ইদানিং তাঁকে আর সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভাতেও অনুপস্থিত মিঠুন। অন্দরের খবর বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ঝগড়া, বিশৃঙ্খলায় বিরক্ত অভিনেতা। আর সেই কারণেই দলীয় কর্মসূচি এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি।

একসময় সিপিএম (CPIM) নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন মিঠুন। তারপর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সমর্থনে যান রাজ্যসভায়। সেই সময় ‘বোন’ মমতার প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা উপচে পড়ে। কিন্তু বড় ছেলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, নিজের হোটেলের জায়গা নিয়ে সমস্যা- এই সব থেকে বাঁচতেই গেরুয়া শিবিরে তিনি নাম লিখিয়েছেন বলে অভিযোগ বাংলার শাসকদলের।

২০২১- বিজেপিতে যোগ দেন মিঠুন। বিজেপিতে গিয়েই একেবারেই ভোল বদল মিঠুনের। কথায় কথায় আঙুল তোলেন তৃণমূলের দিকে। মঞ্চে রাজনৈতিক বার্তার থেকে সভা গরম করতে বেশি বলেন হিট ছবির ডায়লগ। বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে পদ্ম শিবিরের হয়ে পদযাত্রা করেছিলেন। যদিও তার কোনও প্রভাব নির্বাচনের ফলে পড়েনি। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগেও বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় ছিলেন মিঠুন কিন্তু বাংলায় শোচনীয় ফল হয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

সম্প্রতি বুথস্তরে বিজেপির কাজে নামার কথা ঘোষণা করেছিলেন মিঠুন। কয়েকটি সাংগঠনিক জেলায় বৈঠকও করেন। কিন্তু সেই বৈঠকে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের কোন্দল ও আকচাআকচি দেখে ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা। তিনি বৈঠকে থাকলেও ঝগড়া থামছে না। মিঠুনের কথাও কেউ শুনছে না। বৈঠকে তাঁর উপস্থিতিতেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ছেন বিজেপির কর্মীরা। ক্ষুব্ধ মিঠুন বৈঠক ছেড়ে পাশের ঘরে বসে থাকছেন। দলের রাজ্য কমিটির এক নেতার কথায়, “আগামী বিধানসভার ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপির অবস্থা দেখে খুবই বিরক্ত ও হতাশ মিঠুনদা”। সেই কারণেই জেলায় জেলায় দলীয় কর্মসূচি এড়াচ্ছেন তিনি। আবার আদি বিজেপি নেতাদের কথায়, মিঠুন ভালো অভিনেতা ঠিকই, কিন্তু সবাই তাঁকে দেখতে আসছে, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে মানছে না। ফলে বিরক্ত মহাগুরু কর্মসূচিতে থাকতে চাইছেন না।

আরও পড়ুন – আরজি কর কাণ্ডে ভুয়ো প্রচারের অভিযোগ! নোটিশ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে

_

_

_

_

_

_