সাতসকালে নৃশংসতা আর সমাজে বাড়ছে থাকা অসহিষ্ণুতা খবর শিরোনামে। নদিয়ার তেহট্টের (Tehatta , Nischintapur) নিশ্চিন্তপুরে পুকুর থেকে উদ্ধার ত্রিপলে মোড়া, তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়ার দেহ! মৃতের নাম স্বর্ণাভ বিশ্বাস (Swarnabha Biswas)। শুক্রবার বিকেল ৩টে থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিন নিথর ছেলের দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। এরপরই অভিযুক্ত প্রতিবেশী টোটোচালক উৎপলের বাড়িতে চড়াও হয় স্থানীয়রা। শুরু হয় মারধর। গণপিটুনি থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আঘাত পান সীমাও। দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তিনটি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

–

–

স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বর্ণাভর পরিবারের সঙ্গে শত্রুতার জেরেই অভিযুক্ত উৎপল ও তাঁর স্ত্রী নৃশংসভাবে তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াকে খুন করে দেহ পুকুরের জলে ভাসিয়ে দেন। উত্তেজিত জনতা এদিন টোটো চালকের বাড়ির পাশে থাকা পাটের গুদামেও আগুন লাগিয়ে দেন। সাতসকালে এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর প্রকাশ পেতেই মনোবিদরা বলছেন, নাবালক শিশুর মৃত্যু এবং গণপিটুনিতে অভিযুক্ত দম্পতির মৃত্যু – এই দুটো ঘটনাই চরম নৃশংসতার প্রমাণ দেয়। আর্থসামাজিক পরিকাঠামোর দ্রুত বদলের কারণেই কি মানুষ এত বেশি অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছেন, প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের মনেও। স্থানীয়রা অবশ্য বলছেন অভিযুক্তরা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। বেগতিক বুঝেই শিশুকে খুন করে জলে ফেলে দেয়া হয়েছে। তদন্তে পুলিশ।

–

–

–
–