বাংলাদেশের মতো একই অবস্থা হচ্ছে নেপালের (Nepal)। তরুণদের আন্দোলনের জেরে ওলি সরকারের পতন হলেও, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী খুঁজতে বিভ্রান্ত জ়েন জি। প্রথমে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীল কারকিকে বাছলেও, তাতে সমর্থন ছিল না বেশিরভাগের। এবার কুল মান ঘিসিং থেকে ইউটিউব ইনফ্লুয়েন্সার সবাই রয়েছে তালিকায়। এদিকে, নিজেদের মধ্যে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে আন্দোলনকারীরা। প্রকাশ্য রাস্তায় নিজেরা মারামারি করছেন আন্দোলনকারীরা। তাহলে কি সেনার হাতে যাবে হিমালয় কন্যার শাসনভার!

গণঅভ্যুত্থানে ওলি সরকারের পতনের পরে বড় মুখ করে তরুণ আন্দোলনকারীরা বলেনছিলেন, তাঁরা সেনার হাতে শাসনভার তুলে দেবেন না। কিন্তু যে পরিস্থিতি হচ্ছে, তাতে সে দিকেই পরিস্থিতি যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বুধবার, যখন সুশীলাকে দায়িত্ব দেওয়া কথা ওঠে, তখন ৫হাজারের মধ্যে মাত্র আড়াই হাজারের সমর্থন ছিল তাঁর দিকে। বাকিরা ছিলেন বিরোধী। এদিন আবার নাম আসছে মান ঘিসিং-এর। কিন্তু তাঁকে নিয়েও একমত নয় জ়েন জি। মত বিরোধে প্রকাশ্য রাস্তায় মারামারি করেছে তারা। ঠিক এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশে। কে হবেন তদারকি সরকারের প্রধান- বাছতে প্রবল কোন্দলে জড়ান বিদ্রোহীরা।

এদিকে, পদ্মাপারের মতো একই ভাবে দেশের অরাজকতার সুযোগ নিয়ে জেল ভেঙে পালাচ্ছে বন্দিরা। নেপালের (Nepal) বিভিন্ন জেল ভেঙে পালিয়েছে কমপক্ষে ১৫ হাজার দাগি দুষ্কৃতী। অবাধে লুঠপাট চলছে। ব্যাঙ্ক ডাকাতির খবর মিলছে। শিল্পপতি ও নেতাদের বাড়ি টার্গেট করা হচ্ছে। অপরাধীরা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে বলে খবর। সংশোধনাগার থেকে নাবালকদের পালানোর চেষ্টায় গুলি চালায় সেনা। কিশোর কয়েদিরা গেট ভেঙে পালানোর চেষ্টা করতেই গুলি চালানো হয়। কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আহতের ৭।

এই অরাজকতার ছবি ধরা পড়ে বাংলাদেশেও। সেখানেও জেল ভেঙে পালায় কুখ্যাত অপরাধী, রাজাকাররা। তবে, নেপাল প্রধান বাছতে পারে না পারায় আর কিছুদিন এভাবে চললে দেশের রাশ হাতে নিতে পারে সেনা। রাজধানী কাঠমান্ডু, ললিতপুর ও ভক্তপুরে কার্ফু কিছুটা শিথিল করেছে সেনা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেপালের দোকানবাজারগুলিতে স্থানীয়রা ভিড় জমান। সকাল থেকে রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা।

–

–

–

–

–