Monday, November 10, 2025

শান্ত মিষ্টু মদ্যপ! মানতে পারছেন না প্রতিবেশীরা, ইঙ্গিতপূ্র্ণ পোস্ট বিশেষ বন্ধুর

Date:

Share post:

ফের পড়ুয়া মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University)। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চার নম্বর গেটের কাছের ঝিলপাড় যখন তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, তখন ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের অনামিকা মণ্ডল (Anamika Mandol) না কি তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার, গভীর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী ভাবে মৃত্যু? সেই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট বিশেষ বন্ধু অত্রি ভট্টাচার্যের।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) চার নম্বর গেটের কাছের ঝিলপাড় থেকে বৃহস্পতিবার, গভীর রাতে অচৈতন্য অবস্থায় অনামিকাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। রাতেই দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। সূত্রের খবর, মত্ত ছিলেন ওই ছাত্রী। কিন্তু সেই কথা মানতেই পারছেন না তাঁর পাড়া নিমতার ললিত গুপ্ত স্ট্রিটের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, “ও খুবই শান্ত আর মেধাবী। ও মদ্যপ ছিল এটা মানতে পারছি না।” পাড়ার শান্ত মিষ্টুকে বরাবর শান্ত বলেই জানেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের কথায়, ”আমরাও ওকে খুব ভালোবাসি। বরাবরই হাসিখুশি। দেখা হলেই কথা বলত। ছোটো থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো। ওর এমন পরিণতি হতে পারে স্বপ্নেও ভাবিনি। কিছু বুঝতে পারছি না।” অনামিকার দেদার মদ্যপানের তত্ত্ব মানতে নারাজ প্রতিবেশীরা। উল্টে যাদবপুরের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

এদিকে, অনামিকার মৃত্যুর পরে সোশাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূ্র্ণ পোস্ট করেন অত্রি। লেখেন, ”আমার ভালবাসায় নিশ্চয়ই কোন খামতি ছিল। আমার পূর্বজন্মের নিশ্চয়ই ছিল কোনও পাপ। তাই শুধু আমাকে না, সকলকে ছেড়ে চলে গেলি। আর কোনও কথা নেই। রাগ নেই। হেসেও উঠবি না আর। আমাকে এই নরক থেকে নিয়ে যেতে পারতিস মিষ্টু।”

শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত বলেন, “সিসিটিভি বিষয়ে রাজ্যকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমারা সীমিত সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে কাজ করছি। গতকাল রাতে পেট্রোলিং দল ছিল৷ কিন্তু হতে পারে সেই সময় ওই স্থানে ছিল না। এখন সব থেকে বড় সমস্যা নিরাপত্তারক্ষীর অভাব। আশা করব শীঘ্রই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য যোগদান করবেন। তাহলে যেসমস্ত শূন্যপদ আছে, সেইগুলো দ্রুত পূরণের জন্য পদক্ষেপ করা হবে। সরকারের সঙ্গে আমারও বেশি করে নিরাপত্তার জন্য কথা বলব।”

এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স। পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি তাদের লক্ষ্য। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তারা কথা বলে। প্রথম দফার বৈঠকে ৬০ জন পড়ুয়াকে ডাকা হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন পড়ুয়ারা।

spot_img

Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...