কেন্দ্রের ওয়াকফ আইনের একাধিক ধারায় পরিবর্তনের রায় জানালো দেশের শীর্ষ আদালত। তবে ‘রেয়ারেস্ট মামলা’ না হওয়ায় এখনই গোটা আইন বাতিলের পক্ষে রায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) শীর্ষে মুসলিম ব্যক্তির থাকার নিয়মেও পরিবর্তনের অন্তর্বর্তী রায় দিল শীর্ষ আদালত।

ওয়াকফ আইনের (WAQF amendment act) একাধিক ধারায় ধর্মীয় অধিকার লঘু করার দাবি জানিয়ে গোটা আইন খারিজের আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলার অন্তর্বর্তী রায়ে জানালো, এই আইনে যে পরিবর্তন করা সম্ভব তা-ই যথেষ্ট। বিরলতম (rarest) না হওয়ায় গোটা আইন বাতিলের প্রয়োজন নেই।

তবে মামলায় পাঁচটি রায়দান করে প্রধান বিচারপতির বি আর গভাই (CJI B R Gavai) ও বিচারপতি এ জি মাসির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমত, এখনই পাঁচ বছর ইসমাল ধর্মাবলম্বী হওয়া ব্যক্তির ওয়াকফ সম্পত্তি (WAQF property) প্রদানের আইনের খারিজ হচ্ছে না। রাজ্যগুলি নিজেদের আইন তৈরি করার পরে এই আইন লাগু হতে পারে। কেন্দ্রের সরকার নতুন আইনে ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তরে পাঁচ বছর সময় ইসলামে থাকা ব্যক্তির ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করেছিল।

সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, সরকারি জমি ওয়াকফের অন্তর্গত হয়ে গিয়েছে, এমন রিপোর্ট সরকারি আধিকারিক পেশ করার পরে সেই ওয়াকফ সম্পত্তি খারিজ হতে পারবে। রিপোর্ট পেশের আগে নয়।

ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য অমুসলিমরাই হবেন, এই আইনে পরিবর্তন আনে সুপ্রিম কোর্ট। জানানো হয়, ওয়াকফ বোর্ডে (WAQF Board) সর্বোচ্চ ৪ জন সদস্য অমুসলিম (non-Muslim) হতে পারবেন। রাজ্যের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা হবে ৩ জন।

আরও পড়ুন: ঠিকাদারকে লক্ষ্য করে গুলি, ইংরেজবাজারে দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ

সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ওয়াকফ বোর্ডের শীর্ষে কখনই আধিকারিক হিসাবে অমুসলিম ব্যক্তি থাকতে পারবেন না। এক্সেকিউটিভ অফিসার পদে একজন মুসলিম ব্যক্তিকেই রাখার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি বি আর গভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

–

–

–