কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে দিল্লি পুলিশকে (Delhi Police) ধুয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। চন্দননগরের (Chandan Nagar) বাসিন্দা সৈকত বসুর পুত্র অপহরণ মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Home ministry) অধীন দিল্লি পুলিশ এবং বিদেশ মন্ত্রকের দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা মেনে নেয়নি আদালত। বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার কড়া ভর্ৎসনা করে জানিয়েছে, “আপনাদের গাফিলতির জন্যই অপহৃত হয়েছে শিশু। দায় এড়াতে পারেন না।”

চন্দননগরের বাসিন্দা সৈকত বসুর রুশ স্ত্রী ভিক্টোরিয়া বসু (Russian wife Victoria Basu) তাঁদের পুত্রকে নিয়ে বিহার, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি হয়ে রাশিয়ায় পালিয়ে গিয়েছেন—এই তথ্য আদালতে জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও বিমান সংস্থা কোনও তথ্য দেয়নি, তবে ভিক্টোরিয়ার ইমেলের আইপি অ্যাড্রেসের লোকেশন ট্র্যাক করেই নিশ্চিত হয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই রিপোর্ট দেখেই ক্ষুব্ধ বেঞ্চ জানায়, শিশুটিকে কীভাবে ফের আদালতের হেফাজতে আনা যায়, তার সঠিক পরিকল্পনা দিতে হবে।
বিচারপতিরা আরও জানান, শিশুর বাবা সৈকত বসু আদালতের কাছে একটি ‘সিলড কভার’-এ তথ্য জমা দিয়েছেন, যাতে হংকংয়ের এক সংস্থার নাম রয়েছে। সেই তথ্য অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল(ASG) ঐশ্বর্য ভাটির হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে দশ দিন পর।

প্রসঙ্গত, চিনে কর্মরত থাকার সময় রুশ নাগরিক ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে সৈকতের পরিচয়, তারপরে বিয়ে। বিয়ের পর জানা যায়, ভিক্টোরিয়ার বাবা ছিলেন রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা FSB-র প্রাক্তন অফিসার।
সৈকতের অভিযোগ, স্ত্রী তাঁকে ফোর্ট উইলিয়ামে যাওয়ার জন্য চাপ দিতেন। সৈকতের বাবা, প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার সমীর বসু মেনে নেননি। এর জেরেই দাম্পত্যে ফাটল ধরে। সন্তানকে নিজের হেফাজতে নেওয়ার মামলা চলাকালীনই ভিক্টোরিয়া হঠাৎ নিখোঁজ হন। ৪ জুলাই দিল্লির রাশিয়ান দূতাবাসে তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। আরও পড়ুন: কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হলেন সৌমেন সেন

–

–

–

–

–

–

–
–