বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে বাংলার পর্যটন শিল্পের (Tourism industry of Bengal) ভাগ্য সুপ্রসন্ন। উত্তর ভারতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর নেপালের (Nepal) অশান্তির কারণে বাঙালি-অবাঙালি এমনকি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় এবার বাংলার উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। দার্জিলিং-কালিম্পং-ডুয়ার্সে বুকিং বাড়ছে, খুশি পাহাড়ের হোটেল ব্যবসায়ীরা।

বছরের বাকি দিনগুলোতে কাজের চরম ব্যস্ততার কারণে খুব একটা বেশি ছুটি মেলেনা। তাই অনেকেই পুজোর পাঁচ দিন শহরের হুল্লোড় থেকে একটু দূরে পাহাড় আর প্রকৃতির নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান। এক্ষেত্রে বেশিরভাগের চেনা গন্তব্য হয় সিকিম কিংবা গ্যাংটক। অনেকে আবার ভূস্বর্গেও পাড়ি দেন। পুজোর ছুটিতে বাঙালির বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনায় সবার আগে উঠে আসে নেপালের নাম। কিন্তু এবার কার্যত সব রাস্তা বন্ধ। উত্তর ভারতে একনাগাড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কখনও মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি আবার কখনও ভূমিধসে বিপর্যস্ত পর্যটন পরিষেবা। অন্যদিকে নেপালের পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এই অবস্থায় ভাগ্য খুলেছে বাংলার উত্তরবঙ্গের। দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং, ডুয়ার্স জুড়ে বুকিং-এর জোয়ার শুরু হয়েছে। অনেকে অফবিট ডেস্টিনেশনের হোমস্টের দিকে ঝুঁকেছেন। লাটাগুড়ি রিসর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দীব্যেন্দু দে (Dibyendu Dey) জানান, “পুজোর সময় ডুয়ার্সে খুব একটা পর্যটকের ভিড় থাকে না। এবার অনেকেই যোগাযোগ করছেন। পাশাপাশি এবার ভুটানে যাওয়ার পথে অনেকেই জলদাপাড়া, চিলাপাতা, বক্সা পাহাড়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছেন।” ডুয়ার্সের রিসর্টগুলোতে বেশিরভাগ রুম বুক হয়ে গেছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দার্জিলিংয়ে পর্যটকের ঢল নামার আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পাহাড়ের প্রায় সব হোটেলেরই ৫০ শতাংশের বেশি বুকিং হয়ে গেছে। ফলে চলতি বছরের দুর্গোৎসবে যে বাংলার পর্যটন শিল্পেও খুশির জোয়ার তা বলাই বাহুল্য।

–

–

–

–

–

–

–

–