শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ছিল বিশিষ্ট গণকবিয়াল, গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ৮৩তম জন্মদিন। এই বছরেই তাঁর প্রয়াণ ঘটে। প্রয়াত হওয়ার পর এই প্রথম জন্মদিনকে ঘিরে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের উদ্যোগে জীবনানন্দ সভাগৃহে আয়োজন করা হল স্মরণসভা। জীবনানন্দ সভাগৃহের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, আলোকচিত্রী অশোক মজুমদার, সঙ্গীতশিল্পী সৈকত মিত্র, চিকিৎসক সিদ্ধার্থ গুপ্ত, দেবপ্রিয় মল্লিক, সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত, সমাজকর্মী সুশান রায়, মানবাধিকার কর্মী বাসুদেব ঘটক, অভিনেতা রাহুল চক্রবর্তী, চিকিৎসক ভাস্কর চক্রবর্তী, অধ্যাপক শামিম আহমেদ, সঙ্গীত শিল্পী অমিত কালি, সমাজকর্মী কল্যাণ সেনগুপ্ত, সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য-সহ বহু বিশিষ্টজন। পরিবার ও আত্মীয়রা-ও ছিলেন অনুষ্ঠানে। এদিনের অনুষ্ঠানের মঞ্চেই প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে তাঁর নামাঙ্কিত সংগীত একাদেমি ও সংরক্ষণশালা গড়ার প্রস্তাব দেন আলোকচিত্রী অশোক মজুমদার। সাদরে সেই প্রস্তাবের সমর্থন জানান সাংসদ দোলা সেন। সেখানে শিল্পীর শুধু গান নয়, তাঁর সারাজীবনের সব কাজ সংরক্ষিত থাকবে।

স্মরণসভার সূচনা হয় সৈকত মিত্রের কণ্ঠে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান পরিবেশনের মাধ্যমে। এদিন প্রয়াত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জীবনীর উপরে আলোকপাত করেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও শ্রমিক নেতা পূর্ণেন্দু বসু। তিনি বলেন ‘প্রতুল মুখোপাধ্যায় কোথায় যাননি, তিনি আমাদের মধ্যেই আছেন। তাঁর কথা সুর এবং তাঁর সংগ্রাম আমাদের সঙ্গে চিরকাল থাকবে’।

অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত শিল্পীর সহধর্মিণী ও পরিবারবর্গও। বাংলা ভাষা ও বাঙালি পরিচয়ের প্রতীক ‘আমি বাংলায় গান গাই’-এর স্রষ্টা প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করতে গিয়ে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের সদস্যরা জানান, আজ যখন নানা প্রান্তে বাঙালিদের উপর অত্যাচার চলছে, তখন তাঁর মতো প্রতিবাদী অথচ কোমল কণ্ঠস্বরের অভাব তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে কবীর সুমন, শ্রীজাত ও জয় গোস্বামীর মতো কবি-সাহিত্যিকরা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান। তাদের মতে, প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গানের মতোই তাঁর অবস্থান ছিল বাংলা ভাষা ও বাঙালি অস্মিতার অক্লান্ত রক্ষাকবচ।

আরও পড়ুন-সন্ন্যাসী তো আমি নই! ‘দেবী চৌধুরানী’র প্রচারে এ কী বলেন ভবানী পাঠক

_

_

_

_

_

_
_