পুজোয় চারটে বাংলা ছবি রিলিজের কথা ছিল। কিন্তু হল সাড়ে তিনটে। অর্থাৎ একটা ছবি আধা বাংলা আধা দক্ষিণী। বলা ভালো দক্ষিণীর রিমেক। সক্কাল সক্কাল শো দেখতে গিয়েই ধাক্কা। বাংলার রঘু ডাকাত কোথায়, এতো দক্ষিণী ছবির রিমেক।

পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজোর ছবি ‘রঘু ডাকাত’ দেখতে বসলে মনে হবে বাংলা ছবি নয়, যেন ধুন্ধুমার অ্যাকশনের মারকাটারি দক্ষিণী ছবি দেখছি। রক্ত, মারামারি, হানাহানি, কাটাকাটির এ যেন ধ্বংস আর প্রতিশোধের লীলাক্ষেত্র। এতোটা ভায়োলেন্স কোনও বাংলা ছবিতে আগে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। রুদ্রপুরের অত্যাচারী জমিদার অহীন্দ্র বর্মণ আর ডানকান ও ফার্গুসেন সাহেবের বিরুদ্ধে ময়নাঝোরার রাজা বাংলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ মা কালী ভক্ত রঘু ডাকাতের জেহাদ।

কখনও তিরন্দাজের বেশে, কখনও খড়্গ বা বর্শা হাতে পাগড়ি পরা দেব, কপালে পুরু সিঁদুরের প্রলেপ। রঘু ডাকাতের চরিত্রে দেব -এর এই লুক, সিক্স প্যাক শরীরী ভাষা ও প্রচন্ড অ্যাকশনের ককটেল। কিন্তু তাতে রঘু ডাকাতের মেজাজ নেই। ছবিতে দেবের চেয়েও অনেক বেশি নজর কেড়েছেন সহ-অভিনেতারা।

বিগ বাজেটের ছবি ঠিক যেমনটা হয় এই ছবির মেকিং তেমনই। রসদ খুব কম। একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি। ছবির শুরুটা ঢিমে তালের। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে ছবি ততগতি পেয়েছে। একটা সময় মনে হয়েছে ছবি নয় যেন মৃত্যুর মিছিল।

আরও পড়ুন :জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুরসভা- CESC-র রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের

পুজোর মুখে অ্যাকশন প্রেমী জনতা আশা নিয়ে যাবেন ঠিকই। কিন্তু অত রক্ত, খুন উৎসবের মেজাজের সঙ্গে মানসই হবে কি? ছবির গানগুলি বেশ ভালো। আবহ সঙ্গীত রথীজিৎ ভট্টাচার্য, সঙ্গীতে নীলায়ন চট্টোপাধ্যায় রথীজিৎ ভট্টাচার্য। সংলাপ সুগত গুহ, মেককাপ সোমদাথ কুণ্ডু, অনবদ্য সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন সৌমিক হালদার। সৃজনশীল পরিচালনা দেব অধিকারী। প্রযোজনা এসভি এফ এন্টারটেইনমেন্ট দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার।

–

–

–

–
–