ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া ও ভুয়ো আবেদন ঘিরে দীর্ঘ বিতর্কের অবসান ঘটাতে কড়া পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। এবার থেকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি, সংশোধন বা নাম বাদ দেওয়ার মতো সব আবেদনেই বাধ্যতামূলক করা হল আধার-ভিত্তিক ই-সাইন যাচাই।

ইসিআই নেট পোর্টাল ও মোবাইল অ্যাপে চালু হয়েছে এই নতুন ব্যবস্থা। আবেদনকারী ফর্ম পূরণের পর সরাসরি একটি বহিরাগত ই-সাইন পোর্টালে চলে যাবেন। সেখানে আধার নম্বর দিতে হবে। আধারের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরে যাবে একটি ওটিপি। সেই ওটিপি প্রবেশ করালেই পরিচয় যাচাই সম্পন্ন হবে এবং ফর্ম জমা দেওয়া যাবে।

কমিশনের দাবি, এতদিন ফর্ম ৬ (নতুন ভোটার), ফর্ম ৭ (নাম বাদ) এবং ফর্ম ৮ (সংশোধন) যাচাই ছাড়াই জমা দেওয়া যেত। সেই সুযোগে ভোটার কার্ডের অপব্যবহার বেড়ে গিয়েছিল। নতুন প্রক্রিয়ায় ভুয়ো আবেদন বা পরিচয় চুরির সুযোগ থাকবে না।

উল্লেখযোগ্যভাবে, সম্প্রতি কর্ণাটকের আলান্দ কেন্দ্রে প্রায় ৬,০০০ ভোটারের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। অভিযোগ ছিল, প্রকৃত ভোটারের পরিচয় ব্যবহার করে অন্য নম্বর থেকে ফর্ম জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার পরই কমিশন নতুন প্রযুক্তি-নির্ভর ই-লক ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, এই পদক্ষেপে ভোটার তালিকা আরও স্বচ্ছ হবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে।

আরও পড়ুন – বিধানসভা ভোটের আগে অবৈধ লেনদেনে কড়া নজরদারি শুরু কমিশনের

_

_

_

_

_
_