আর পাঁচটা পুজোর দিনের থেকে আলাদা হওয়ার কথা ছিল না। দুর্গাপুজোর সপ্তমীতে হলও তেমনটাই। যদিও বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকা সত্ত্বেও শহর ভিজলো বৃষ্টিতে। তবে কলকাতার দুর্গাপুজোর (Durgapuja 2025) দর্শনার্থীরা বুঝিয়ে দিলেন বৃষ্টিকে তাঁরা ভয় পান না। বাগবাজার থেকে বেহালা, চেতলা থেকে সল্টলেক – একইভাবে ভিড় বজায় রইল দুর্গাপুজোর সপ্তমীতে (Saptami)।

শোভাবাজার রাজবাড়ি হোক বা হাতিবাগান সার্বজনীন অথবা কুমোরটুলি পার্ক, সপ্তমীর সকাল থেকে ভিড়টা আছড়ে পড়ছিল। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে শুধু ভিড় রইল না, পরিণত হল জনসমুদ্রে। শুধু উত্তর কেন, মধ্য কলকাতা, পূর্ব কলকাতা, সল্টলেক, দক্ষিণ কলকাতা, বেহালা, হরিদেবপুর, ঠাকুরপুকুর, কসবা, গড়িয়া, নাকতলা—এক কথায় টালা থেকে টালিগঞ্জের প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি কোণায় সুনামির মতো ভিড় আছড়ে পড়েছে।

বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকলেও তা এখনও পর্যন্ত বঙ্গবাসীকে দমাতে পারেনি। অষ্টমীতে নাকি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। নবমী, দশমীতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তারই আভাস পাওয়া গেল সপ্তমীতে (Saptami)। সন্ধ্যার পরই হয়ে গেল এক পশলা বৃষ্টি (rain)। তাতে কী! প্রতিটি মণ্ডপে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। মধ্যরাতেও একই ছবি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল।

আরও পড়ুন: গোলাপের দামে পদ্ম! অষ্টমীর আগে সুখবর ফুলের বাজারে

এই সময়টায় নামীদামি রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে কলকাতা স্ট্রিট ফুড, ফাঁকা নেই কোথাও। ঘামতে ঘামতে বন্ধুবান্ধব, পরিজনদের নিয়ে ঠাকুর দেখার পর পেটপুজো না হলে চলে! অতএব বাঙালি এখন রাতের দিকে, কখনও বা দুপুরে লাইন দিচ্ছে রেস্টুরেন্টের দরজায়।

–

–

–

–

–