বিজয়া দশমীতে শুভেচ্ছার বহর মোদির: ভোটের সমীকরণ!

Date:

Share post:

আগে কবে দেশবাসীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, মনে করা দুষ্কর। যতদূর মনে পড়ে, ২০২০ সালের পর আবার এই ২০২৫‌‌। প্রধানমন্ত্রী বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানালেন দেশবাসীকে! তাহলে কি ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভার ভোট বলেই এত শুভেচ্ছার বহর? তড়িঘড়ি প্রধানমন্ত্রীর বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছায় সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

দশমীর সকালেই বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন নিয়ে কারও কোনও অসুবিধা নেই। তিনি প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাবেন, তাঁর শুভেচ্ছা সবাই আপ্লুত হবে, এটাই তো উচিত। কিন্তু সেই শুভেচ্ছার অন্তরালে যদি লুকিয়ে থাকে ভোট রাজনীতি, তখন তো কথা হবেই। শুভেচ্ছার সময় নির্বাচন নিয়েই তৈরি হয়েছে যত বিতর্ক‌‌। প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) শেষবার বিজয় দশমীর (Vijaya Dashami) শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ২০২০ সালে। ২০২১ সালে বাংলার নির্বাচনের ঠিক আগেই। আবার ২০২৫ সাল। পরের বছরই অর্থাৎ ২০২৬-এ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী তূণ থেকে সেই তাসটি আবার বের করলেন।

বাংলা ও বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব শুরুর আগে হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছিল দুর্গাপুজো নিয়ে প্রশংসা। বলেছিলেন, বাংলার আকাশ বাতাস দুর্গোৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। অথচ তাঁর দলেরই সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ এর আগে বড় গলা করে বলেছিলেন, বাংলায় নাকি দুর্গাপুজো হয় না! দ্বিচারিতার সীমা অতিক্রম করে এখন প্রধানমন্ত্রী আবার বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়। নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন, ভোট এলেই কেন প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের তোড়জোড় পড়ে। অন্যসময় কেন তাঁর মনে থাকে না বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছার কথা? যখন যে রাজ্যে ভোট আসে, তখন ওনার ওই রাজ্যের মানুষের কথা মনে পড়ে! আবার অনেকে বলেছেন, ২০২৬-এর আগে ‘ভোট চোর’ প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) এই শুভেচ্ছার (wish) বহরও একটা জুমলা, একটা নাটক। সামনের বছর ভোট তো। তাই সবাই বুঝতে পারছে, শুধু অন্ধভক্তরা ছাড়া। ভোট এলেই শুভেচ্ছার কথা মনে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর।

কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন, বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর এত তাড়া কীসের প্রধানমন্ত্রীর? এটা কি প্রথম হওয়ার প্রতিযোগিতা? উনি যখন বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তখন তো দশমীবিহিত পূজাই শুরু হয়নি! আবার কেউ কেউ তাঁকে বাংলা-বিদ্বেষী খোঁটা দিয়ে লিখেছেন, উনি তো দশমী জানাবেন না, উনি বাঙালি-বিরোধী হিন্দু! উনি তো দশেরার শুভেচ্ছা জানাবেন! আমরা বাংলা-বিরোধী টেলিপ্রম্পটার বাবার শুভেচ্ছা চাই না।

আরও পড়ুন: সামান্য বৃষ্টিতেই ডবলইঞ্জিন সরকারের মথুরায় বুক সমান জল! বন্ধ গাড়িতে আটকে বৃদ্ধ

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী এক্সে লিখেছেন, বিজয় দশমী মন্দের উপর ভালো এবং মিথ্যার উপর ধার্মিকতার বিজয় উদযাপন করে। সাহস, প্রজ্ঞা এবং ভক্তি সর্বদা আমাদের পথ দেখাক। দেশবাসীকে আমার বিজয় দশমীর শুভেচ্ছা।

spot_img

Related articles

কলকাতার সঙ্গে জুড়ে গেল চিন: ঘোষণা হল প্রথম উড়ানের দিন

ভারত সরকার চিনের সঙ্গে নতুনভাবে যোগাযোগের বার্তা দিয়েছিল। ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি উড়ানের প্রস্তাবও হয়েছিল। এবার কলকাতা...

দুর্গাপুজোর বিসর্জনে বিপর্যয় মধ্যপ্রদেশে: ট্রাক্টর উল্টে মৃত ১১

দুর্গাপুজোর বিসর্জনে বড়সড় বিপর্যয় মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) খান্ডোয়া জেলায়। বিসর্জনের গ্রামবাসী বোঝাই ট্রাক্টর (tractor) উল্টে গিয়ে জলে পড়ে যান...

দুর্গোৎসবের দশমীতে কাঁদল প্রকৃতিও: উত্তরে ধসে বিপর্যয়

ফের অতি গভীর নিম্নচাপ। নবমীতে কিছুটা রেহাই দিলেও দশমী থেকেই উত্তর ও দক্ষিণ – দুই বঙ্গেই বৃহস্পতিবার থেকে...

বাংলায় বড় বিনিয়োগ করতে চলেছে JSW: সুরুচির পুজোয় জানালেন সজ্জন, সঙ্গীতা করতে চান আর্ট স্কুল

বাংলায় বড় বিনিয়োগ করতে চলেছে JSW গ্রুপ। বিজয়া দশমীতে সুরুচি সংঘের পুজোয় এসে এই আশার কথাই শোনালেন সংস্থার...