উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রেহাই নেই বন্যপ্রাণেরও। গরুমারার জঙ্গল লাগোয়া জলঢাকা নদীতে ভেসে এসেছে একটি গন্ডারের দেহ। একই সময় জলঢাকা নদী পার হতে গিয়ে মাঝপথে আটকে পড়েছে হাতির একটি দল। অন্য দিকে, নকশালবাড়িতে মেচি নদীর স্রোতে ভেসে গিয়েছে একটি হস্তিশাবক।

রবিবার দুপুরে প্রায় ৩০টি হাতির দল মেচি নদী পার হচ্ছিল। সেই সময় আচমকা স্রোতে ভেসে যায় একটি শাবক। ভারী বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে পারেনি সে।

দুর্যোগের প্রভাব আরও ছড়িয়েছে তরাই-ডুয়ার্সে। ডুয়ার্সের জঙ্গল-ঘেরা এলাকাগুলিতেও ঢুকছে নদীর জল। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান থেকে ভেসে আসা একটি গন্ডার তোর্ষার প্রবল স্রোতের মধ্যে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ওই ভিডিয়ো ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের শীল তোর্সা সেতু থেকে তোলা হলেও, এর সত্যতা এখনও যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ।

শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, প্রতিবছর অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে ব্রহ্মপুত্রের জলে ভেসে যায় অসংখ্য প্রাণী। পরিবেশপ্রেমীদের আশঙ্কা, উত্তরবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতিতেও তেমন দৃশ্য দেখা দিতে পারে।

শনিবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত দার্জিলিং, কালিম্পং। মিরিক ও সুখিয়াপোখরির অবস্থাও করুণ। পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস নামায় বন্ধ রাস্তা, বহু গ্রাম বিচ্ছিন্ন। ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পাহাড়ি জল নেমে আসছে সমতলেও, ফলে প্লাবিত হচ্ছে ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা।

প্রবল বর্ষণে ফুলে ফেঁপে উঠেছে তিস্তা, তোর্সা-সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব নদী। তিস্তার জল উপচে উঠেছে জাতীয় সড়কের উপর। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে বিপন্ন হবে মানুষই নয়, বনাঞ্চলের অসংখ্য বন্যপ্রাণও।

আরও পড়ুন – রেড রোডে বর্ণাঢ্য পুজোর কার্নিভাল, মঞ্চে চেনা ছন্দে মুখ্যমন্ত্রী

_

_

_
_