কাটল উপাচার্য নিয়োগের জট। রাজ্য সরকারের সঠিক অবস্থান এবং শীর্ষ আদালতের ক্রমবর্ধমান চাপের কাছে মাথা নত করে পশ্চিমবঙ্গের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে সবুজ সঙ্কেত দিতে বাধ্য হলেন আচার্য্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, যে সব নাম নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপালের আপত্তি নেই, সেই প্রার্থীদের অবিলম্বে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা যাবে। এর ফলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের পথ প্রশস্ত হল।

বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন মামলার শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বে গঠিত সিলেকশন কমিটি সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা আদালতে জমা দেয়। যদিও সেই তালিকার বেশ কিছু নাম নিয়ে আচার্য আপত্তি জানান। কিন্তু যে প্রার্থীদের নাম নিয়ে কোনও আপত্তি নেই, তাঁদের নিয়োগের অনুমতি দিলেন বিচারপতিরা।

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি। তিনি স্পষ্ট করেন, রাজ্য সরকারের পাঠানো তালিকায় উল্লিখিত ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে আপত্তি নেই আচার্যের। আদালতও সম্মতি জানিয়ে জানায়, অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে।

তবে এখানেই থেমে থাকেননি বিচারপতি সূর্যকান্ত। তিনি জানতে চান, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাকি প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অ্যাটর্নি এ ব্যাপারে স্পষ্ট জবাব দিতে না পারলেও বেঞ্চ জানায়, বিচারপতিরা নিজেদের চেম্বারে বসে রাজ্য সরকার এবং আচার্যের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজবেন।

ফলে মোট ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যেগুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঝুলে ছিল, তার অন্তত ছ’টিতে এই মুহূর্তে নিয়োগের রাস্তা পরিষ্কার হল। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এতে শুধু শিক্ষাক্ষেত্রের স্থবিরতা কাটবে না, প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও গতি ফিরবে।

আরও পড়ুন – উত্তরের দুর্গতদের জন্য তৃণমূলের আইটি হেল্পডেস্কের নম্বর

_

_

_

_
_