উত্তরে আকাশ থেকে সরেছে দুর্যোগের ঘনঘটা, দুর্ভোগ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে পাহাড়। অতি বৃষ্টি আর ধসের (Rain and Landslide disaster) জেরে ধাক্কা খেয়েছিল পর্যটন, গত চারদিনে একের পর এক ট্রেন বাতিল বুকিং ক্যান্সেলে মাথায় হাত হোটেল মালিক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেই আবহ কাটিয়ে উঠে এবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন।ভূমিধসের শঙ্কায় গত রবিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সান্দাকফু ট্রেকিং বন্ধ করেছিল প্রশাসন। বুধবার আবহাওয়া ভালো হতেই আবার সান্দাকফু রুট পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় (Sandakphu opened for trekking)। এরপরই ট্রেকিং শুরু দেশি-বিদেশি পর্যটকদের।

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প (north bengal tourism industry) অনেক বড় ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু কোন রকমের বিপদের ঝুঁকি নিতে চাইনি প্রশাসন। পর্যটকরা সিকিমমুখী হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয় ট্যুর অপারেটর এবং ল্যান্ড রোভার চালকদের মধ্যে। তবে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই খুলে দেওয়া হল সান্দাকফু। আসলে এখানে ট্রেকিং করার জন্য অক্টোবর থেকেই পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। কিন্তু দুর্যোগের পরিস্থিতিতে প্রশাসন সান্দাকফুতে ট্রেকিং বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই পর্যটকরা তুষারপাতের ঝুঁকি নিয়েও থুলা, জিরো পয়েন্ট, ইয়ংথাংয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।শুধু তাই নয়, দার্জিলিংয়ে ট্রেকার ট্যুরিস্টদের বুকিং বাতিলের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। ৫-৭ অক্টোবর পর্যন্ত পঞ্চাশটির বেশি গাড়ি বুকিং বাতিল করেন ট্রেকাররা। তবে বুধবার থেকে সান্দাকফু খুলে যাওয়াই খুশি সকলেই। বৃহস্পতির সকালেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

–

–

–

–

–

–

–

–
–