কেন্দ্রের ষড়যন্ত্রে বারবার বানভাসি বাংলার দক্ষিণের জেলাগুলি। রাজ্যকে না জানিয়ে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ছে ডিভিসি (DVC), এই অভিযোগ বারবার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অভিযোগকে সামনে রেখে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রী মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak) নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) পাঞ্চেত বাঁধের (Panchet dam) প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। ছিলেন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোলের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, মেয়র পারিষদ গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। পুরুলিয়ার দলীয় সমর্থকরা বিক্ষোভে অংশ নেন।

মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার আগে রাজ্যকে জানানোর কথা ডিভিসির আধিকারিকদের বারবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, এই দুই জলাধার (dam) জল ছাড়লে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যা পরিস্থিতি হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ডিভিসি তা করে না। রাজ্যকে না জানিয়েই তারা জল ছেড়ে দেয়। দুর্গাপুজোর সময়ও জল ছাড়ার জন্যেই বাংলার বিরাট অংশ প্লাবিত হয়। তৃণমুলের তরফে ডিভিসির পাঞ্চেত জলাধারের কর্তাদের কাছে স্মারকলিপি (deputation) দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: আবার বাংলাকেই অনুকরণ: ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ আনলেন তামিলনাড়ুর স্ট্যালিন

বাস্তবে ডিভিসির কথায় আর কাজে কোনও মিল নেই। এমনই দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। মন্ত্রীর দাবি, ডিভিসির তরফে বলা হয়েছে, মাত্র ৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। কিন্তু কাল যে ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে না, তার গ্যারান্টি কোথায়? গত ৭ অক্টোবর তৃণমুলের তরফে মাইথনে একই দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু সেদিনই ৬০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছিল। ফলে হুগলির খানাকুলের ৫টি গ্রাম ডুবে যায়। মন্ত্রী স্পষ্ট দাবি জানান, আলোচনা করেই জল ছাড়তে হবে।

–

–

–

–

–

–