ভারতের (India) মাটিতে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে একজনও মহিলা সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এর জেরে ভারতে আফগানি ফতুয়া তুলে নিতে বাধ্য হলেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি (Afghanistan Foreign Minister Amir Khan Muttaqi)। তিনি এ ঘটনাকে ‘প্রযুক্তিগত সমস্যা’ বলে ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, ‘মহিলা সাংবাদিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়নি’। আরও পড়ুনঃ ত্রাওরের তুফানে আফ্রিকায় জাগছে জেন-জি! বিশ্বমঞ্চে উঠে আসছে বুরকিনা ফাসো

শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুত্তাকি। সেখানে ভারত ও বিদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকলেও একজনও মহিলা সাংবাদিক ছিলেন না। বিষয়টি সামনে আসতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দেশজুড়ে বহু মহিলা সাংবাদিক, সমাজকর্মী এবং বিরোধী নেতারা। এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে শনিবার আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জানান, “প্রেস কনফারেন্সটি খুব স্বল্প সময়ে আয়োজন করা হয়েছিল এবং তালিকাভুক্ত কয়েকজন সাংবাদিককেই ডাকা হয়েছিল। এটি মহিলাদের বাদ দেওয়া ইচ্ছাকৃত কোনো পদক্ষেপ নয়। প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য এমন হয়েছে।” তিনি আরও দাবি করেন, “আফগানিস্তানে বর্তমানে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন নারী শিক্ষার্থী রয়েছে। মাদ্রাসাগুলিতেও মেয়েরা পড়াশোনা করছে। কোনো ধর্মীয় নির্দেশের ভিত্তিতে নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়নি।”

তবে এই ঘটনার পর প্রতিবাদে সরব হন বর্ষীয়ান সাংবাদিক বর্খা দত্ত, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সাগরিকা ঘোষ, সাকেত গোখলে এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীসহ আরও অনেকে। এই ঘটনাকে ‘মেল ওনলি প্রেস কনফারেন্স’ বলে এই ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করেন তাঁরা। প্রশ্ন ওঠে, কেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রক তালিবান প্রোটোকল মেনে নিল?
আফগান বিদেশমন্ত্রীর ব্যাখ্যা সত্ত্বেও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে— এই বাখ্যা কতটা যুক্তি সম্মত? এরকম ‘প্রযুক্তিগত ভুল’ কই আদেও হওয়া সম্ভব? তবে, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা শুধু হতাশাজনক নয়, বরং নারী স্বাধীনতা ও পেশাগত মর্যাদার উপর সরাসরি আঘাত।

–

–

–

–

–
