প্রথম টেস্টে(Test) আড়াই দিনেই জয় পেয়েছিল ভারত(India)। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে হল পুরো পাঁচ দিন। দিল্লিতে(Delhi) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চতুর্থ দিনেও জয় পেল না টিম ইন্ডিয়া। পঞ্চম দিনে জয় ভারতের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫৮ রান, সাতে ৯ উইকেট।

তৃতীয় দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৩ উইকেটে ১৭৩। সেখান থেকে ৩৯০ রানে সমাপ্ত হল ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংস। দিল্লির মৃতপ্রায় পিচে ভারতীয় বোলারদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিলেন ক্যারিবিয়ানরা। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনেই দেখা যাচ্ছিল, দিল্লির পিচ থেকে কোনও সুবিধা পাচ্ছেন না বোলারেরা।

একই ছবি চতুর্থ দিনও দেখা গেল। জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজেরা সবরকম চেষ্টা করলেন। কিন্তু ক্রিজে ক্রমশ জাঁকিয়ে বসেন সাই হোপ। প্রশ্ন উঠছে টেস্ট ক্রিকেটে কেন এই ধরণের উইকেট হচ্ছে। আইসিসি সব সময় চাইছে টেস্ট ক্রিকেটের উইকেটকে আরও প্রাণবন্ত রাখতে। সেখানে দিল্লির উইকেট মুখ পোড়াল বিসিসিআইয়ের।

এই ম্যাচে লজ্জার রেকর্ড গড়ল ভারত। ২০১২ সালের পর এই প্রথমবার ডিক্লেয়ার করার পরও ঘরের মাঠে ব্যাট করতে নামতে হবে ভারতকে। আহমেদাবাদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওই টেস্টের ভারত আটটি টেস্ট ফলো-অন করিয়ে জিতেছে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য দুটি টেস্ট ড্র হয়েছে। ফলে ভারতের রণনীতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

অপরাজিত থাকা জন ক্যাম্পবেল এবং শাই হোপ চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই সাবলীলভাবে খেলতে থাকেন। বুমরাহ, সিরাজ, জাদেজাদের ভালোই সামলাচ্ছিলেন তাঁরা।শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পবেলকে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা। ক্যারিবিয়ান ওপেনারের ১৯৯ বলে ১১৫ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২টি চার, ৩টি বিশাল ছক্কা দিয়ে।সাই হোপ ১০৩ রান করে সিরাজের বলে আউট হলেন।

শেষ উইকেটে ৭৯ রান তুলল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্চ ৩২ রানে জয়দেনকে বুমরাহ আউট করতেই ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংসের যবনিকা পতন ঘটে। তিনটি করে উইকেট নেন কুলদীপ ও বুমরাহ। সিরাজ দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নন জাদেজা ও ওয়াশিংটন।

১২১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই যশস্বীর উইকেট হারায় ভারত। রাহুল ২৫ এবং সুদর্শন ৩০ রানে অপরাজিত আছেন।
