পর্যটনের পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। সেচ ও জলপথ দফতরের অধীনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা ১১টি পরিদর্শন বাংলো এবার থেকে সাধারণ মানুষও ভাড়া নিতে পারবেন। এতদিন পর্যন্ত এই বাংলোগুলি শুধুমাত্র দফতরের আধিকারিকদের ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত ছিল।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এবং ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে বুকিং নেওয়া হবে। বুকিংয়ের দায়িত্বে থাকবে দফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়— ‘জলসম্পদ ভবন’।

সেচ দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যের নানা প্রান্তে থাকা এই বাংলোগুলি শুধু প্রশাসনিক সফরের জন্য নয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার ক্ষেত্রেও আদর্শ স্থান। “পর্যটনকে উৎসাহ দিতে এই বাংলোগুলি এখন সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে,” মন্তব্য ওই আধিকারিকের। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ— সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে এই বাংলোগুলি। জলপাইগুড়ির গজলডোবা, শিলিগুড়ির তিস্তা প্রকল্প ভবন, শান্তিনিকেতনের খোয়াই, বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুরের কংসাবতী ভবন, কিংবা দক্ষিণবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার ও সাগর— প্রতিটি জায়গাই পর্যটকদের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয় গন্তব্য। প্রশাসনের আশা, এই সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন রাজ্যের পর্যটন শিল্পে নতুন গতি আসবে, তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিও লাভবান হবে। রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শান্ত পরিবেশে সরকারি বাংলোতেই এখন মিলবে আরামদায়ক থাকার সুযোগ— সেই দরজাই খুলে দিল রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন- ব্যবহারই পরিচয়! টিকিট পরীক্ষকের সৌজন্যতার প্রশংসা নেটদুনিয়ায়

_

_

_

_

_

_
_