পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভাবে কৃষককে জমি থেকে তুলে নেওয়া পেঁয়াজই বিক্রি করতে হয়, ফলে তারা ভালো দামে পণ্য বিক্রি করতে পারে না। এই সমস্যা সারা বছর পেঁয়াজের বাজারেও প্রভাব ফেলে এবং বীণ রাজ্যগুলোর উপর বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের নাসিকের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। ক্রেতারাও অনেক সময় বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হন। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে আলুর মতো পেঁয়াজ সংরক্ষণের উপায় খুঁজতে শুরু করেছে কৃষি বিজ্ঞানীরা। হুগলির বলাগড়ে সুখ সাগর প্রজাতির পেঁয়াজ চাষ হয়, যেখানে পরীক্ষামূলকভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ঘর তৈরি করা হলেও তা কার্যকরি হয়নি। এবার রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে হুগলিতে পেঁয়াজ গোলা তৈরি করা হবে।

সোমবার হুগলি সার্কিট হাউসে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক তরুন ভট্টাচার্য, সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, জেলা কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মদন মোহন কোলে ও কৃষি দফতরের অন্যান্য কর্মকর্তারা। পেঁয়াজ গোলার জন্য হুগলিতে অনলাইনে ৩৫২ জন আবেদন করেছিলেন। লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৭৫ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “আমাদের আমলে পেঁয়াজ চাষ অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকলে কৃষক সুবিধা পাবেন এবং ক্রেতারাও সারাবছর পেঁয়াজের সুবিধা পাবে। এই জন্য পেঁয়াজ গোলা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

মোট ২৫ লক্ষ মেট্রিক টনের জন্য ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যে ২২৬১ জন আবেদন করেছেন। হুগলি জেলায় লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ১৭৫ জন প্রত্যেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা সরকারি ভর্তুকি পাবেন। এতে মহারাষ্ট্রের নাসিকের উপর নির্ভরতা কমবে এবং অসময়ে পেঁয়াজের হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতাও নিয়ন্ত্রণে আসবে। রাজ্যের ১০টি পেঁয়াজ উৎপাদক জেলায় মোট ৭৭৫টি পেঁয়াজ গোলা তৈরি করা হবে, যার মধ্যে হুগলিতে থাকবে ১৭৫টি। মন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার কৃষকদের সবরকম সহযোগিতা করছে যাতে চাষিরা উৎসাহিত হন এবং পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকে।

আরও পড়ুন- বড় পদক্ষেপ সরকারের! এবার পর্যটকদের জন্য খুলে গেল রাজ্যের ১১টি পরিদর্শন বাংলো

_

_

_

_

_

_
_