চলতি বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর ভোটার তালিকা থেকে ১০টি জেলায় শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিকের নাম বাদ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১১২ জন বাংলাদেশিকে প্রাথমিকভাবে বিদেশী আঞ্চলিক নিবন্ধন অফিস (এফআরআরও) বিদেশি হিসেবে শনাক্ত করেছে। আরও ৭৫০ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নিয়ে তদন্ত চলছে।

এই ঘটনার সূত্রপাত হয় কলকাতা, মুম্বই ও দিল্লির বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের সময়। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টের পাশাপাশি ভারতীয় ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়। এরপর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় এবং বিষয়টি এফআরআরও-র নজরে আসে।

যে জেলাগুলিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলি হল—উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর ও কোচবিহার।

সূত্রের খবর, এফআরআরও-র পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে সিইওর দফতর সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের (ডিইও) তদন্তের নির্দেশ দেয়। জেলার পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১২টি জাল বা অস্তিত্বহীন ভোটার কার্ড শনাক্ত হয়েছে, যা বাংলাদেশি নাগরিকদের নামে ছিল। সব কার্ডই ভোটার তালিকা থেকে বাতিল করা হয়েছে।

প্রতি মাসে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি নতুন অভিযোগ আসে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট জেলার মাধ্যমে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন হয় এবং কার্ড জাল প্রমাণিত হলে তা সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হয়। সিইও দফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা জানান, “আমরা এই ধরনের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই। রাজ্যে যেহেতু এসআইআরের প্রস্তুতি চলছে, তাই নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।”

আরও পড়ুন – সেনাদের পাশে দাঁড়াতে অনন্য উদ্যোগ! এনডিআইটিএ ও প্রিন্সটন ক্লাবের সহযোগিতায় রক্তদান শিবির

_

_

_
_
_

