আজ দীপান্বিতা কালীপুজো (Kali Puja festival)। শ্যামামায়ের আরাধনায় সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন কালীমন্দির, সিদ্ধপীঠ ও সতীপীঠে পুজো দেওয়ার ভিড় ভক্তদের। অন্যান্য বছরের মতো এবারও মায়াবী আলোর ঝরনাধারায় ভেসে গিয়েছে মন্দির চত্বর। রবিবার মধ্যরাত থেকে শ্রীরামকৃষ্ণধন্য দক্ষিণেশ্বরে (Dakshineswar Kali temple) পুজো দিতে ডালা হাতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন দূরদূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থী ও ভক্তরা। সোমবার সকাল ছয়টা থেকে শুরু হয়েছে পুজো। মন্দির চত্বরে পার্কিংয়ের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রয়েছে কড়া নজরদারিও। মন্দির ও আশপাশের এলাকা জুড়ে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। ছিনতাই, ইভটিজিং রুখতে থাকছে সাদা পোশাকের পুলিশ ও মহিলা পুলিশের বিশেষ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। গঙ্গায় দুর্ঘটনা এড়াতে গঙ্গাবক্ষে রিভার ট্রাফিক পুলিশ (River traffic police) টহল দেবে।

কালীপুজো উপলক্ষে আজ সারারাত দক্ষিণেশ্বরের মন্দির (Dakshineswar Kali temple) ভক্তদের জন্য খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ১০টায় গঙ্গায় ঘটস্নানের পর কালীপুজোর দিনের মায়ের বিশেষ পুজো শুরু হবে। ১৭০ বছর ধরে যে নিয়ম মেনে মায়ের পুজো হচ্ছে, এবারও সেই রীতি ও নিয়ম মেনেই মাতৃআরাধনা হবে। মায়ের ভোগে সাদা ভাত, ঘি ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচরকম তরকারি, পাঁচরকম মাছ, চাটনি, খিচুড়ি, পায়েস, পাঁচরকম মিষ্টি সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হবে। রাত দেড়টা নাগাদ পুজো শেষ হওয়ার পর শুরু হবে হোমযজ্ঞ। এদিন সকাল থেকেই ভিড় বাড়ছে বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরে (Tarapith temple)। মায়ের শিলামূর্তিকে সোমবার ভোর চারটে নাগাদ মহাস্নানের পর দেবীর রাজ বেশ হয়েছে। আজ সারাদিন মন্দির খোলা থাকবে। সন্ধ্যায় বিশেষ আরতি, নিশি পূজা শুরু রাত এগারোটার পর। কালীপুজোর দুপুরে দেবীকে ভাত, পোলাও সহ ডাল, পাঁচ রকম ভাজা দেওয়া হয়। থাকে পোলাও, পাঁচ রকমের তরকারি, মাছ। বিশেষ ভোগ হিসেবে থাকে বলির পাঁঠার মাংস, শোল মাছ পোড়া, সঙ্গে চাটনি, পায়েস, মিষ্টি। সন্ধ্যায় শীতলভোগে থাকবে লুচি, মিষ্টি, খই, মুড়কি।

–

–

–

–

–

–

–

–