ক্লাব বনাম ইনভেস্টর দ্বন্দ্ব ফের শুরু হল ইস্টবেঙ্গলে(East Bengal)! সন্দীপ নন্দী(Sandip Nandy) ইস্যুতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি লাল হলুদে। চিফ কোচ অস্কার ব্রুঁজোর সঙ্গে সংঘাতের জেরে গোলরক্ষক কোচের পদ ছেড়েছেন সন্দীপ। ভারতীয় ফুটবলে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সন্দীপ।

দুই একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে আইএসএলের মঞ্চে ভারতীয় কোচরা বরাবরই ডেপুটির দায়িত্ব পালন করে আসেছেন। তাদের মতামতের গুরুত্ব থাকত না। কিন্তু কেউই কোনও রকম প্রতিবাদ করতেন না। কিন্ত সেই কাজটাই করে দেখালেন সন্দীপ নন্দী। সিদ্ধান্ত ভুল ঠিক হয়েই থাকে। কিন্ত তার জন্য বিদেশি কোচের অপমান সহ্য করেননি, নিরাপদ চাকরির জন্য চুপ করে সহ্য না করে পদত্যাগ করেছেন.

খুব সাধারণ মানের বিদেশি কোচেরা ভারতে কোচিং করতে এসে নিজেদের কেউকেটা ভাবতে শুরু করেন। অনুশীলনে তাঁদের ভূমিকা থাকে না। ট্রেনিংয়ে বাকি কাজটা সারেন তাঁর মদতপুষ্ট বিদেশি ট্রেনার বা ফিজিক্যাল ট্রেনাররাই। যাঁদের যোগ্যতা নিয়ে থাকে প্রচুর প্রশ্ন। অথচ যোগ্য ভারতীয় সহকারী কোচদের মতামতও নেন না বিদেশি চিফ কোচ।

ভারতের সর্বকালের সেরা গোলরক্ষকদের মধ্যে একজন। দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সন্দীপের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুধু ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো শুধু তাঁকে অপমান করেননি, অপমান করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলারদের।

সন্দীপ কাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে ক্লাব বনাম ইনভেস্টর দ্বন্দ্ব? কারণ সন্দীপ নন্দীকে ক্লাবের পক্ষ থেকে রিক্রুট করা হয়েছিল। ফলে প্রথম থেকেই টিম ম্যানেজমেন্টের পছন্দের পাত্র ছিলেন না বলেই সূত্রের খবর।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তা ও ইনভেস্টরের মধ্যে দুরত্বের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল এই মরশুমে দল গঠনের সময় থেকেই। মরশুমের সবে শুরু, এর মধ্যেই নতুন দ্বন্দ্বের সংকেত পাওয়া যাচ্ছে।
