আলোর রাত পেরিয়ে আজ শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা (Bhaiphota)। ভাইয়ের মঙ্গল আর দীর্ঘায়ু কামনায় তার কপালে চন্দনের ফোঁটা আঁকবেন বোনেরা। সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা- ভাইফোঁটার আনন্দ উৎসবের মাতবে বঙ্গবাসী। তবে শুধু বাংলা নয়, বিহার-সহ ভারতের (India) অনেক জায়গাতেই আজ পালিত হবে ভাইদুজ (Bhaiduj)।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে ফোঁটা নিতে যাবেন নেতা-মন্ত্রী থেকে বিশিষ্ট কয়েকজন। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে (Arup Biswas) ফোটা দেবেন বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক ও টলিউডের সেলেবরা (Celebrity)। দুর্বার মহিলা সমিতির পক্ষ থেকেও ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছে। তিথি অনুসারে, শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি শুরু হয়েছে ২২ অক্টোবর রাত ৮টা ১৬ মিনিটে, যা চলবে ২৩ অক্টোবর রাত ১০টা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত। শুভ মুহূর্ত বিবেচনায় ভাইফোঁটা উদ্যাপনের জন্য ২৩ তারিখকেই সঠিক বলা হয়েছে।

ভাইফোঁটার (Bhaiphota) উৎপত্তি নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনী, আখ্যান। রয়েছে কৃষ্ণ ও সুভদ্রার কাহিনি থেকে যম-যমুনার গল্প। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ায় কৃষ্ণ যখন কংস বধ করে ফিরেছিলেন, তখন সুভদ্রা তাঁকে ফোঁটা, ফল, মিষ্টি দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। সেই থেকেই ভাইফোঁটার সূচনা।

আরেক কাহিনি হল সূর্যদেবের এক পুত্র ও এক কন্যা যম-যমুনার। বিমাতার অত্যাচারে যমুনা ও যমের ছেলেবেলায় বিচ্ছেদ ঘটে। বিয়ের পর যমুনা স্বামীর বাড়ি যান। সেখানে হঠাৎই একদিন যম দিদির বাড়ি আসেন। ভাইকে পেয়ে যমুনাও ভীষণ খুশি। আপ্যায়নেও খুশি হয়ে বর চাইতে বলেন যম। সেই দিনটিকে যমুনা ভাতৃদ্বিতীয়া হিসেবে পালন করার কথা জানায়। সেদিন থেকেই এইদিনটির ভাতৃদ্বিতীয়ার সূচনা।

–

–

–

–

–

–