রাজনৈতিক নিয়োগ নিয়ে শুভেন্দুর সমালোচনার কড়া জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক প্রশ্ন তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি পাল্টা আক্রমণ শানানো হয়। দলীয় সূত্রের দাবি— “যাদের চরিত্রেই ভণ্ডামি, তারাই এখন বাংলার রাজনৈতিক নিয়োগ নিয়ে জবাব চাইছে।”

তৃণমূলের বক্তব্য, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একের পর এক সাংবিধানিক পদে নিজেদের অনুগামীদের বসাচ্ছে, অথচ এখন রাজ্যে ‘রাজনৈতিক নিয়োগ’-এর নামে অভিযোগের ঢেউ তোলা হচ্ছে। দলবদলু নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের বক্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারী এখন নির্বাচন-নিষ্ঠা নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছেন! মনে হয় স্মৃতিভ্রংশ হয়েছে ওনার।”

তৃণমূলের তরফে পাঁচটি উদাহরণ টেনে আনা হয়—
১) অসমের রাজ্যপাল গুলাবচাঁদ কাটারিয়া রাজস্থানে বিজেপির নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়েছিলেন।
২) মধ্যপ্রদেশের সাতনায় ভোটের আগে জেলাশাসক ও পুর কমিশনারকে দেখা গিয়েছিল আরএসএসের এক অনুষ্ঠানে।
৩) কর্নাটকের পঞ্চায়েত অফিসার প্রবীণ কুমার কে.পি. আরএসএসের পোশাক পরে শতবর্ষ উদযাপনে উপস্থিত ছিলেন।
৪) এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর কুমার যাদব বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
৫) বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র আরতি অরুণ সাথেকে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি করা হয়।


এই ঘটনাগুলি তুলে ধরে তৃণমূলের প্রশ্ন— “যে দল প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের রাজনৈতিক নিয়োগকেন্দ্রে পরিণত করেছে, তারা এখন কী করে সততার মুখোশ পরে ঘুরছে?” দলের আরও দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর যুক্তি যদি ধরা হয়, তবে রাষ্ট্রপতির উচিত সমস্ত সাংবিধানিক পদ থেকে বিজেপি-ঘনিষ্ঠদের অপসারণ করা। তবে তৃণমূলের কটাক্ষ— “তাতে আশ্চর্যের কিছু থাকবে না, কারণ ভণ্ডামিই তো বিজেপির চরিত্র।”

তাই শুভেন্দু অধিকারী মহম্মদ আলাউদ্দিন নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের এক বিএলও রাজনৈতিক সত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নির্বাচন কমিশনের সিইওর কাছে আবেদন করেন তাঁকে সরিয়ে দিতে এবং প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের নির্বাচনী নিষ্ঠা নিয়ে। বিএলও হিসেবে নিযুক্ত ব্যক্তি যদি কোনও রাজনৈতিক পদে থেকেও থাকেন, তাহলে বিজেপি যে রাজনৈতিক নিয়োগ করেছে, তার কী যুক্তি দেবে? তাহলে কি তাঁদেরকেও সরানোর দাবি করবেন বিরোধী দলনেতা? সে প্রশ্নও থাকল।

আরও পড়ুন- তরুণের সুইসাইড নোটে নাম! আত্মহত্যা করলেন অরুণাচলের আইএএস অফিসার

_

_

_
_
_
_


