বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত ‘বিতর্কিত’ নির্দেশ স্থগিত করল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। মিল্লি আল আমিন কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা তথা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা বৈশাখীকে অব্যাহতি দেওয়ার তারিখ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, সেই চিঠি ঘিরেই প্রশাসনের অন্দরে শুরু হয়েছিল চাপানউতোর। সোমবার উচ্চশিক্ষা দফতরের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগের নির্দেশে কিছু ‘অসঙ্গতি ও আইনি সমস্যা’ থাকায় সেটি আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ১৬ অগাস্ট বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বরই তিনি চাকরি ছেড়েছেন বলে জানিয়ে একটি চিঠি পাঠায় উচ্চশিক্ষা দফতর। এর ফলে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি যেসব দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বেতন নিয়েছেন, তার কোনও বৈধতা নেই। অর্থাৎ এক বছরের বেতন ফেরত দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

বৈশাখী প্রশ্ন তোলেন, যদি চিঠির তারিখ ৮ অগস্ট ২০২৫ হয়, তবে তা এত দেরিতে কেন পৌঁছল? উচ্চশিক্ষা দফতর ছুটিতে থাকা অবস্থায় বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে চিঠির বিষয়বস্তু নিয়েও আপত্তি জানান। ২২ অগাস্ট তিনি দফতরে ই-মেল করে নির্দেশ সংশোধনের আর্জি জানান। ঘটনাটি রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্ব পায়, কারণ ওই চিঠি পৌঁছনোর কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিঙে বৈঠক করেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পরদিনই বৈশাখীর কাছে পৌঁছয় ওই চিঠি, যা নিয়ে নানা মহলে জল্পনা ছড়ায়। তবে উচ্চশিক্ষা দফতরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপাতত সেই জটিলতা কিছুটা কমেছে। দফতর স্পষ্ট করেছে, আগের নির্দেশটি স্থগিত থাকবে এবং বিষয়টি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা হবে।

প্রসঙ্গত, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন মিল্লি আল আমিন কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা হিসাবে কাজ করেছেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবার ইস্তফা দিলেও তা গৃহীত হয়নি। পরবর্তীতে তাঁকে রামমোহন রায় কলেজে বদলি করা হলেও তিনি সেখানে যোগ দেননি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি ওই চিঠি সম্পর্কে আগে কিছু জানতাম না, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন- আর জি করের তরুণ চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু! আত্মহত্যা নাকি বিষক্রিয়া?

_

_

_

_
_
_


