বাংলা গানের আবেশে সুরভিত এক সন্ধ্যা। হাওড়ার শরৎ সদন মঞ্চে রবিবার অনুষ্ঠিত হল সঙ্গীতানুষ্ঠান “আমার গানেই পাবে আমায়”, যার আয়োজন করে মিউজিক ফিভার। সুর, তাল ও ছন্দের অনবদ্য মেলায় শ্রোতাদের মন ভরিয়ে দিলেন দুই শিল্পী— সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় ও ঝুমকি সেন।

বাংলা আধুনিক গানের ধারাকে নতুন প্রজন্মের কাছে আরও একবার পৌঁছে দিতে সঞ্জয়ের পরিবেশনায় ছিল একাধিক মৌলিক সৃষ্টি। নিজের কথা ও সুরে তিনি গাইলেন ‘দিনে দিন যায় চলে রাতে রাত কেটে যায়’, ‘আমার হাতের মুঠোয় তোমার স্বপ্নগুলো আছে’, ‘আমার গানেই পাবে আমায়’, ‘শতক্ষত আড়াল করে আর কত হাসবি রে বল’, ‘জ্বলন্ত চিতা দেখ জ্বলছে সীতা’ এবং ‘আজ যদি ফিরে ফিরে চাই’-এর মতো একাধিক হৃদয়ছোঁয়া গান। প্রতিটি গানের মধ্যেই ছিল জীবনের মৃদু দর্শন ও সুরের গভীরতা। সঞ্জয়ের সঙ্গে যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় পাঠক (তবলা), সুখেন্দু দাস (গিটার), নবেন্দু চক্রবর্তী (কীবোর্ড) এবং অনিন্দিত চট্টোপাধ্যায় (অক্টাপ্যাড)। তাঁদের নিখুঁত সমন্বয় মঞ্চের আবহকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।

অন্যদিকে, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে ও আরতি মুখোপাধ্যায়ের সোনালি যুগের গানগুলির আবেশ ফিরিয়ে আনলেন ঝুমকি সেন। তাঁর গলায় প্রতিধ্বনিত হল ‘ওঠো ওঠো সুর্যাই রে’, ‘তখন তোমার একুশ বছর’, ‘কে বাজায় বাঁশিতে’, ‘এমন মধুর সন্ধ্যা’, ‘বলো বলো’, ‘রূপসি বলো না বেশি’ এবং ‘আজ তবে এইটুকু থাক’-এর মতো চিরকালীন গান। শ্রোতাদের করতালিতে একাধিকবার থমকে দাঁড়াতে হয় তাঁকে।

এ দিন মঞ্চে পরিবেশিত নৃত্যায়ন দলের নৃত্যও ছিল চোখ জুড়ানো। গানের সঙ্গে সুরেলা পদক্ষেপ যেন অনুষ্ঠানটিকে পূর্ণতা দেয়। সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন আবির সেনগুপ্ত, যার প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় সন্ধ্যার আবহ আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। বাংলা গানের ঐতিহ্যকে নতুন রূপে শ্রোতাদের সামনে উপস্থাপনের এই উদ্যোগে সন্তুষ্ট দর্শকরা বলেন— “এমন সঙ্গীতানুষ্ঠানই আজকের দিনে বাংলা গানের প্রতি ভালোবাসা ফিরিয়ে আনে।”

আরও পড়ুন- প্রতারণা মোদি সরকারের! ১০০ দিনের গ্যারান্টি নেমেছে ৩১ দিনে, কটাক্ষ ডেরেকের

_

_

_

_
_
_


