“ভোটে হেরে, আদালতে হেরে বাংলার ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি”— তীব্র আক্রমণে এইভাবেই সরাসরি অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “আজকের তারিখটা লিখে রাখুন। একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলেও বাংলার মানুষ চুপ করে থাকবে না। ২০২৩ সালে ট্রেলর দেখিয়েছিলাম, এবার পুরো সিনেমা দেখাব।”

অভিষেকের অভিযোগ, বিজেপির লক্ষ্য এখন বাংলার মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা। “বিজেপির সহকারী সংগঠন এসআইআর ঘোষণা করেছে ঠিক ছট পুজোর সময়ে! এটা ভোটার তালিকা সংশোধনের নাম করে বাংলাকে হেনস্থা করার ষড়যন্ত্র।” তিনি আরও বলেন, “আগে মানুষ ভোট দিয়ে সরকার বেছে নিত। এখন সরকারই নিজের পছন্দের ভোটার বেছে নিচ্ছে। এই ভোটার তালিকাতেই লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। যদি ত্রুটি থাকে, আগে সংসদ ভেঙে নতুন করে ভোট দিন, তারপর এসআইআর করুন।”

অভিষেক বলেন, “২০০২ সালে এসআইআর করতে দু’বছর লেগেছিল। এখন বলছে দুই মাসে করবে! দেশের পাঁচটি রাজ্যে ভোট, কিন্তু বিজেপি-শাসিত অসমকে বাদ দিয়ে কেবল বাংলায় এই প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। কেন? এটা স্পষ্ট প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ। বাংলাকে হেনস্থা ও অপমান করাই ওদের উদ্দেশ্য।”

অভিষেকের দাবি, বিজেপি বাংলার মানুষের শক্তিকে ভয় পাচ্ছে। “একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলেও আমরা দিল্লিতে এক লক্ষ মানুষ নিয়ে আন্দোলন করব। মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চাইলে তার জবাব রাস্তাতেই দেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিজেপির যত ছোট-বড় নেতা আছেন, সবাই বলছে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক ভেঙে পড়বে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি—এসআইআর করার পরও তৃণমূলের আসন গতবারের তুলনায় বাড়বেই। বিজেপিকে ৫০-এ নামিয়ে দেব। আর যদি আপনারা সত্যিই বিশ্বাস করেন তৃণমূল দুর্বল হয়েছে, তাহলে বাংলার বকেয়া ২ লক্ষ কোটি টাকা মুক্তি দিন।”

অভিষেকের তীব্র কটাক্ষ— “এটা আর প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, এটা বাংলার প্রতি বিজেপির প্রতিশোধ। আদালতে হেরে, ভোটে হেরে বাংলার মানুষের উপরই রাগ ঝাড়ছে বিজেপি। গতকাল হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট দুই গালে থাপ্পর মেরেছে। আমি বারবার বলেছি মানুষের ক্ষমতার আগে কারও ক্ষমতা টেকে না। দিল্লিতে গিয়েছিলাম। তখন টেনে হিঁচড়ে বের করে দিয়েছিল। মহিলাদের ছাড়েনি। একাধিক কেন্দ্রের টাকা বন্ধ। আসলে বাংলা ও বাঙলিকে ভাতে মারার চেষ্টা।

আরও পড়ুন – ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’র প্রভাবের আশঙ্কা, সতর্ক রাজ্য প্রশাসন

_

_
_
_


