ইউপিএসসি (UPSC) পরিচালিত জিওফিজিসিস্ট পরীক্ষায় সারা দেশে সপ্তদশ স্থান অর্জন করে সকলের নজর কেড়েছেন রায়গঞ্জের কলেজপাড়ার মেয়ে মনীষা দাস (Manisha Das)। তিনি এই মুহূর্তে জয়পুরে রয়েছেন। গত ২৯ অক্টোবর রাতে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (UPSC) ফলাফল প্রকাশিত হতেই দেখা যায় রায়গঞ্জের মেয়ে সপ্তদশ স্থান অধিকার করেছে সারা দেশের মধ্যে। আনন্দে আত্মহারা পরিবার। মনীষার বাবা শংকর দাস (প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক) এবং মা পুলমা দাস (গৃহবধূ) মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। আত্মীয়রা বলছেন ছোটবেলা থেকেই মেধাবী মনীষার কাছ থেকে এটাই কাঙ্ক্ষিত ছিল।

রায়গঞ্জ গার্লস হাইস্কুল থেকে ২০১৩ সালে মাধ্যমিক ও ২০১৫ সালে রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন মনীষা। ২০১৮ সালে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক এবং ২০২০ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। চিরকালই পড়াশোনার প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ বোধ করেন এই কৃতি। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইএসএম ধানবাদে ভূপদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান।তাঁর স্বামী অমৃত দাসও ২০২২ সালের একই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে রাজস্থানে জিওফিজিসিস্ট হিসেবে কর্মরত। ২০২৩ সাল থেকেই এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলেন মনীষা। গত বছরও ইন্টারভিউ পর্যন্ত গিয়েছিলেন, কিন্তু সামান্য ব্যবধানে সাফল্য অধরা ছিলো। এরপর আসানসোলের এক বেসরকারি মাইনিং কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে চেয়েছিলেন। তাই চাকরি ছেড়ে ফের মন দিয়ে পড়াশুনা শুরু করেন। অবশেষে এল সাফল্য। মনীষার কথায় এই প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজে পড়ার সময় জিওফিজিক্স বিষয়ে খুব বেশি জানেন না। সেক্ষেত্রে অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্সে আগ্রহী পড়ুয়ারা চাইলে এই ক্ষেত্র বেছে নিতে পারেন। তবে শূন্যপদ সীমিত হওয়ায় নিরাশ হলে চলবে না। ধৈর্য আর ভরসা রাখতে হবে। আত্মবিশ্বাস ও অধ্যবসায় সাফল্য লাভের মূল মন্ত্র।রায়গঞ্জের এই তরুণীর সাফল্যে গর্বিত উত্তর দিনাজপুর।

–

–

–

–

–

–

–

–


