অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারত-পাক সীমান্ত দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াত এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তারই মধ্যে গুরু নানক জয়ন্তীতে ভারতীয় শিখ (Sikh) সম্প্রদায়ের পুণ্যার্থীদের পাকিস্তানে অবস্থিত পবিত্র নানকানা সাহিবে (Nankana Sahib) যাওয়ার অনুমতি দেয় পাক প্রশাসন। অথচ সব রকম আন্তর্দেশীয় অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানে (Pakistan) ভারতের হিন্দু (Hindu) নাগরিকদের ঢুকতে দিল না শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif) প্রশাসন। ভারতে এসআইআর (SIR) পরিস্থিতিতে যেভাবে প্রতিবেশী দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারত থেকে বিতাড়নের কাজ চলছে, তার পাল্টা পাক প্রতিক্রিয়া বলেও মনে করা হচ্ছে এই বিষয়টিকে।

ভারতে এনআরসি প্রক্রিয়া যে সময়ে চালু হয়েছিল, সেই সময়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহেই ভারতের ১২ রাজ্যে চালু হয়েছে ভোটার তালিকার (voter list) এসআইআর। বিজেপির নেতারা এসআইআর-এর সঙ্গে এনআরসি-র (NRC) কোনও যোগ নেই, দাবি করলেও বিজেপির নেতারা প্রতিবেশী দেশের মুসলিম নাগরিকদের যে দেশে থেকে বিতাড়নের হুমকি দিচ্ছেন, তা স্পষ্ট। সেই পরিস্থিতিতে এবার পাকিস্তানে প্রবেশে বাধা ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের।

গুরু নানক জয়ন্তী উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের নানকানা সাহিবে ১০ দিনের উৎসবে যোগ দিতে ভারত থেকে ২,১০০ পুণ্যার্থী যাওয়ার আবেদন করেছিলেন। তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করে পাকিস্তান। পহেলগাম হামলা পরবর্তীতে ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত সাধারণের জন্য বন্ধ হওয়ার পরে এটিই প্রথম ভারতীয়দের সীমান্ত পারের ঘটনা। কিন্তু বুধবার সীমান্ত পার হতে গিয়েই বিপত্তি। শিখ (Sikh) সম্প্রদায়ের পুণ্যার্থীদের পাকিস্তানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও প্রায় ৩০০ জন হিন্দু (Hindu) নাগরিককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হল না।

আরও পড়ুন: নাকভির নয়া শর্ত, এসিসির বৈঠকেই এশিয়া কাপ ট্রফি চাইবে বিসিসিআই

পহেলগাম হামলার (Pahalgam attack) পরবর্তীতে ভারতের সঙ্গে বিনা কারণে প্রতিশোধমূলক আচরণ করে চলেছে পাকিস্তান। ক্রিকেটের ট্রফি দেওয়া থেকে এবার সীমান্তে প্রবেশ। ভারতের সাধারণ পর্যটকদের উপর পাকিস্তানের মদতপুষ্ঠ সন্ত্রাসবাদীদের হামলার ঘটনা বিশ্বের সামনে ভারত তুলে ধরার পরই মুখ পুড়েছে শাহবাজ শরিফ প্রশাসনের। ফলে অনৈতিক উপায়ে নির্লজ্জের মতো ভারতকে আটকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। তবে বুধবারের ঘটনায় একটি সম্প্রদায়ের পুণ্যার্থীদের পাকিস্তানে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘটনায় এনআরসি-র পাল্টা প্রতিক্রিয়া বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

–

–

–

–

–


