ইডেনে পছন্দের পিচে হারের পরই বদলে গিয়েছে ভারতীয় দলের পরিবেশ। থমথমে পরিবেশ ভারতীয় দলের। শোনা যাচ্ছে ম্যাচের পর গম্ভীর(Gautam Gambhir) নাকি বেশ ‘বকাঝকা’ করেন। এটাও শোনা গেল, তিনি নাকি বলে দেন এটা টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটিং নয়। টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট করতে গেলে অনেক বেশি ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়। অনেক বেশি মানসিক কাঠিন্যের দরকার হয়। ইডেনে রবিবার যা তাঁর টিম দেখাতে পারেনি। সব মিলিয়ে ভারতীয় দলকে গভীর হতাশায় ডুবিয়ে দিয়েছে ইডেন টেস্টের হার।

কিন্তু টিমের ক্রিকেটারদের বকাঝকা করে কি হবে, ঘরের মাঠে শেষ ছয় টেস্টে চারটিতেই হার। এমন ব্যর্থতার পর গুরু গম্ভীরকে(Gautam Gambhir) তো কাঠগড়ায় উঠতেই হবে। কারণ মাঠ এবং মাঠের বাইরে তিনিই ভারতীয় দলের অঘোষিত নেতা। দল গঠন থেকে রণকৌশল স্থির করা সব সিদ্ধান্ত তিনিই নেন।

সাদা বলে গম্ভীরের কোচিংয়ের সাফল্যের গ্রাফ যতটাই ভালো লাল বলে ততটাই খারাপ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে লজ্জাজনক ফলাফল। ইংল্যান্ডে গিয়ে মানরক্ষা হলেও ঘরের মাঠে আর্ডারি পিচ বানিয়ে ফের ভরাডুবি।

বিরাট, রোহিত, অশ্বিনের মতো সিনিয়ররা দলের সঙ্গে খাপ খাচ্ছেন না বলে দ্রুত তাদের অবসরে পাঠানোর বন্দোবস্ত করলেন। তিন নম্বরে নামাচ্ছেন ওয়াশিংটন সুন্দরকে। টেস্টে তিন নম্বর জায়গাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেখানে একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটারকে না নামিয়ে খেলাচ্ছেন সুন্দরকে।

অতিরিক্ত অল রাউন্ডার খেলাতে গিয়ে ব্যাটার কম খেলালেন। কিন্তু অফ স্পিনার সুন্দর বল করলেন মাত্র ১ ওভার। গম্ভীরের অহেতুক পিচ নিয়ে আবদার এবং পরীক্ষা নীরিক্ষায় টেস্টে ডুবছে ভারত। লাল বলে গুরু গম্ভীরকে নিয়ে কিন্তু ভাবার সময় এসে গেছে ভারতীয় বোর্ড কর্তাদের।

–

–

–

–



