বিহারে কেউ দাবি করছেন ভোটার তালিকা। কারও অভিযোগ ভোটার সংখ্যা নিয়ে। আবার কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগে সরব। তবে ভোটকুশলী তথা জনসূরজ পার্টির (Jan Suraaj Party) প্রধান প্রশান্ত কিশোরের দাবি, বিহারে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে, তার পুরোটাই এতটা দুর্নীতিপূর্ণ, যে তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাওয়া উচিত। দেশের অন্যতম বড় বিরোধী দলগুলিকে এবার সেই পরামর্শই দিলেন পিকে।

বিহারের নির্বাচনে প্রথমবার লড়াই করে গো-হারা হেরেছে প্রশান্ত কিশোরের জনসূরজ পার্টি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই হারের যাবতীয় দায় নিলেন পিকে। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনে পরাজয় কোনও অপরাধ নয়। যে সিস্টেমেটিক পরিবর্তনের বার্তা তাঁর দল দিয়েছিল, তা নির্বাচনে প্রতিফলিত না হলেও তাঁদের দলের কারণেই সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষের পন্থা ও নির্বাচনী প্রচারে পরিবর্তন এসেছে, দাবি পিকের (Prashant Kishore)। হতে পারে মানুষের কাছে যে বার্তা আমরা দিতে চেয়েছি, তা তাঁদের বোঝাতে কিছু ঘাটতি হয়েছিল। সেই খামতির ১০০ শতাংশ দায় আমার, দাবি পিকে-র।

তবে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কংগ্রেস, সিপিআইএম(এল) যে ভোট চুরির অভিযোগ তুলেছে, একইভাবে সেই অভিযোগে সরব প্রশান্ত কিশোর। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে নির্বাচনের শেষ দুঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট বেড়ে যায়। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) এর ব্যাখ্যা কোনও রাজনৈতিক দলকে দিচ্ছে না।

আরও পড়ুন : রাজ্যে উপ-মুখ্য নির্বাচন কমিশনার: BLO-দের শিখণ্ডি করেই নির্ভুল SIR-বার্তা

এই বড় অভিযোগ তোলার পাশাপাশি প্রশান্ত কিশোরের দাবি, গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াই নির্বাচনী আচরণবিধিকে না মেনে হয়েছে। এতে প্রথম থেকে জীবিকা দিদিদের (Jeevika Didi) ব্যবহার করা হয়েছে যা নিয়মের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা তদন্ত প্রয়োজন। ভোটার তালিকা তৈরি থেকে ভোটদানের দিন পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তোলেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর দাবি, জনসূরজ পার্টি অত্যন্ত ছোট দল। অন্তত বড় রাজনৈতিক দল হিসাবে যারা পরিচিত, তাঁদের এই ইস্যুগুলি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।

–

–

–

–

–


