শুক্রবার সকালে আচমকাই কেঁপে উঠল বাংলাদেশসহ পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভূমিকম্প অনুভূত হয় বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রায় দেড় মিনিট ধরে কম্পন অনুভূত হওয়ায় একাধিক জায়গায় চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সকাল ১০.০৮ নাগাদ এই কম্পন (earthquake) অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল বাংলাদেশের (Bangladesh) ঘোড়াশাল হওয়ায় কম্পনের তীব্রতা বাংলায় খুব বেশি অনুভূত হয়নি। তবে আফটার শকের (after shock) জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১০.০৮ মিনিট নাগাদ কোথাও প্রায় দেড় মিনিট, কোথাও নূন্যতম ৪ সেকেন্ডের কম্পন অনুভূত হয়। উৎসস্থল ছিল বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার মাধবদী থানা এলাকার ঘোড়াশাল পুরসভা এলাকা। কম্পনের মাত্রা বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী ৫.৭ ছিল। আবার মার্কিন ভূকম্প মাপন যন্ত্রে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫। ভারতের রিখটার স্কেলে (Richter Scale) মাপ ছিল ৫.৭। ভূমিকম্প অনুভূত হয় ভূপৃষ্ঠ (earth surface) থেকে মাত্র ১০ কিমি গভীরে। ফলে যথেষ্ট বড় কম্পন অনুভূত হয় গোটা বাংলাদেশে।

তারই বড় প্রভাব পড়ে বাংলা, অসম (Assam), ত্রিপুরাসহ (Tripura) পূর্ব ভারতের বেশ কিছু এলাকায়। বাংলার কোচবিহার, বালুরঘাট থেকে কলকাতা শহরে প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। কলকাতায় সেক্টর ফাইভে (Sector- V) কম্পন অনুভূত হয় প্রবলভাবে। বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। এবং দীর্ঘ সময় বাইরে অপেক্ষা করেন, যাতে আফটার শকে কোনওভাবে ক্ষয়ক্ষতি না হয়, তা লক্ষ্য রেখে।

আরও পড়ুন : নিম্নচাপের কাঁটা: তাপামাত্রা বৃদ্ধি ও বৃষ্টির সতর্কতা

অসম ও ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় সবথেকে বেশি অনুভূত হয় ভূমিকম্প। দুই জেলায় সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশ বা ভারতের কোথাও ভূমিকম্পে কোনও প্রাণহানির বা বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

–

–

–

–

–


