খোদ নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটে নির্বাচন কমিশনের এসআইআর প্রক্রিয়ার চাপে জারি মৃত্যু মিছিল। কখনও সেখানে কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করছেন বিএলও-রা, কখনও অসুস্থ হয়ে প্রাণ চলে যাচ্ছে। সেই রকমই এবার অত্যধিক চাপে হৃদরোগে আক্রান্ত (heart attack) হয়ে মৃত্যু হল এক বিএলও-র (BLO)। সারাদিনের কাজের শেষে রাত জেগে কাজ করার জন্য মৃত্যু হল এক প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের, দাবি পরিবার ও সহকর্মীদের। কমিশনের অ্যাপে (BLO app) কাজ করার সমস্যাকেই দায়ী করলেন তাঁরা।

গুজরাটের (Gujarat) মহেশানা জেলার (Mehsana) সুদশনা গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীনেশকুমার রাওয়াল স্থানীয় বিএলও হিসাবে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি কমিশনের অ্যাপে আপলোডের (upload) কাজ করার জন্য তাঁকে রাত জাগতে হচ্ছিল বলে দাবি পরিবারের। বৃহস্পতিবার রাতেও তিনি সেভাবেই আপলোডিংয়ের (uploading) কাজ করছিলেন। কারণ কমিশনের সার্ভারটি (server) রাতেই একমাত্র কাজ করে। রাত ২.৩০ নাগাদ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবারের তরফ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা না হলেও কমিশনের কাজের চাপকেই তাঁরা এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক (principal) হওয়ায় তাঁর স্কুলের কাজের চাপ থাকত। সেই সঙ্গে কমিশনের (Election Commission) বেহাল ব্যবস্থায় রাত জেগে ছাড়া আপলোডিংয়ের কাজ করা যেত না। তার কারণেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের।

আরও পড়ুন : এসআইআরের চাপে হার্ট অ্যাটাক, কাজ করতে করতে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের বিএলও-র

একই অভিযোগ মৃত বিএলও-র সহকর্মীদেরও। ওই এলাকায় গত ১৫ বছর ধরে বিএলও (BLO) হিসাবে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু এবছর এত চাপ দেওয়া হয়েছে কমিশনের দিক থেকে তার জন্য ঘুমাতে পারছেন না বিএলও-রা। এলাকায় দীর্ঘদিন কাজ করার জন্য ভেরিফিকেশন (verification) নিয়ে তাঁকে মোটেও বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু কমিশনের নতুন অ্যাপে রাত জেগে ছাড়া কাজ করা যেত না। যার ফলে মৃত রাওয়াল ছাড়াও অন্যান্য বহু বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে গুজরাটের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের দাবি।

–

–

–

–

–

