ভোর রাত থেকে বিমানবন্দর থেকে যুবভারতী পর্যন্ত অপেক্ষা মেসি ভক্তদের। রাস্তার ধারে অগণিত ফুটবল প্রেমীরা ভিড় করেছিলেন এক ঝলক মেসিকে দেখার জন্য। অথচ শনিবার বেলায় নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান না করেই ফিরে যেতে হল লিওনেল মেসি (Lionel Messi) ভক্তদের। পরিস্থিতি এমন হয়, কোনও মতে বোতলের আঘাত থেকে পালাতে হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। অনুষ্ঠানে আসতেই পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
যুবভারতীতে মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। মাঠে প্রীতি ম্যাচ চলছিল। উপস্থিত ছিলেন গায়ক গায়িকারা। এর মধ্যে ১১.৩০ নাগাদ মাঠে ঢোকেন লিওনেল মেসি। উন্মাদনা শুরু হয় গ্যালারিতে। কিন্তু মাঠের একদিকেই রয়ে গেলেন মেসি। কার্যত মাঠের তিন দিকের দর্শক বঞ্চিত থেকে যান মেসি-দর্শন থেকে। প্রায় ১১ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে যাঁরা মাঠে এক দিকে বসেছিলেন তাঁরা মেসিকে না দেখতে পেয়ে বোতল ছোঁড়া শুরু করেন। দর্শককে শান্ত করার কোনও প্রচেষ্টাই করতে দেখা যায়নি আয়োজকদের। তাঁরা মেসিকে নিয়েই ব্যস্ত। দর্শকদের নিয়ে মাথাই ঘামাননি।

এরই মধ্যে মাঠে পৌঁছন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Saurav Ganguly)। মেসির সঙ্গে কথা বলতে বলতেই সেই দিকে উড়ে আসে বোতল। দর্শকদের দাবি, মেসিকে ঘিরে এত জটলা ছিল যে মেসিকে দেখাই যাচ্ছিল না। সেলফি তোলার চোটে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট (ticket) কেটেও মেসিকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দর্শকরা। কোনওক্রমে নিজেকে উড়ে আসা জলের বোতল থেকে বাঁচিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান সৌরভ।

মেসি মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতেই বিশৃঙ্খলা চরমে ওঠে। বসার আসন ভেঙে, গেট ভেঙে মাঠে ঢুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দর্শকরা। ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন আয়োজন শতদ্রু দত্তের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে মাঠের বাইরে গাড়িতে পৌঁছন শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। তিনি গাড়ি থেকেই নামেননি। পুলিশ তাঁর গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়। দর্শকরা মাঠের বাইরে বেরিয়ে দাবি করেন, গোটা অনুষ্ঠানটাই স্ক্যাম। শতদ্রু দত্তকে গ্রেফতারেরও দাবি ওঠে।

আরও পড়ুন : মেসিকে দেখতে না পাওয়ার রাগ: চেয়ার ভেঙে, মাঠে ঢুকে বিশৃঙ্খলা মেসি-ভক্তদের!

গোট কনসার্টে (GOAT concert) উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি মাঠে আসেননি। গোটা ঘটনায় পরিস্থিতি সামলাতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। মেসিকে ঘিরে যে ব্যক্তিরা মাঠে ঢুকেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটা দর্শকরা। ভেস্তে যায় গোট কনসার্ট। স্টেডিয়ামের বাইরে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মেসি-ভক্তরা। আয়োজকদের চরম ব্যর্থতায় যুবভারতী তথা বাংলার মুখ পুড়ল শনিবার।

–

–

–

–


